বৃষ্টির শঙ্কা নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট। কানপুরে গতকাল থেকে শুরু হওয়া সেই টেস্টে প্রথম দিনের অধিকাংশই ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ফলে খেলা হয়েছিল কেবল ৩৫ ওভার। একই কারণে আজ (শনিবার) দ্বিতীয় দিন কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়েছে।
বৃষ্টির শঙ্কা নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট। কানপুরে গতকাল থেকে শুরু হওয়া সেই টেস্টে প্রথম দিনের অধিকাংশই ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ফলে খেলা হয়েছিল কেবল ৩৫ ওভার। একই কারণে আজ (শনিবার) দ্বিতীয় দিন কোনো বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই পরিত্যক্ত হয়েছে।
কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম এলাকা গতকাল রাতের পুরো সময়ই বৃষ্টিতে ভিজেছে। সে কারণে খেলা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। যদিও আগেরদিন অল্প সময় খেলা হওয়ায় আজ ম্যাচ শুরুর সময় আধাঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়। কিন্তু এরইমাঝে বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা শুরু। মাঝে বৃষ্টি বন্ধ হলেও, মেঘলা আকাশ জানান দিচ্ছিল আবারও নামবে ঝুম বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে শেষ হয়ে যায় প্রথম সেশনে খেলার সম্ভাবনা।
দুপুরের দিকে বেশ কিছুটা সময় কানপুরে বৃষ্টি হয়নি। সেই সময় পুরো মাঠে তিনটি সুপার সোপার দিয়ে পানি সরানোর প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। তবে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন না দেখা যাওয়া কিংবা মাঠ প্রস্তুত করে খেলা গড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেই আড়াইটায় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এর আগে ভারতের কোনো টেস্টের সম্পূর্ণ দিন বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ২০১৫ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই টেস্টেও তখন ফিল্ডিংয়ে ছিল স্বাগতিক ভারত।
এদিকে, কানপুরে দ্বিতীয় দিন খেলতে স্টেডিয়ামে এসে সকালে বেশ কিছুক্ষণ ড্রেসিংরুমে নিজেদের মতো সময় কাটিয়েছেন রোহিত শর্মা ও নাজমুল হোসেন শান্তরা। পরে নিজেদের মতো আড্ডা দিয়ে একপর্যায়ে ফিরে যান টিম হোটেলে। গতকাল প্রথমদিনও প্রথম সেশন শুরু হয়েছিল একঘণ্টা দেরিতে। পরে দ্বিতীয় সেশন শুরুর পর আলোকস্বল্পতা দেখা দেয়, প্রথমে সে কারণে খেলা বন্ধ হলেও পরে বৃষ্টির কারণে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি।
তার আগে বাংলাদেশ ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান সংগ্রহ করে। ৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম। অপর অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হকের সংগ্রহ ৪০ রান। দারুণ শুরুর পরও এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩১ রানে আউট হয়ে যান রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সোজা ডেলিভারিতে এলবিডব্লু হয়ে। তার আগে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই আউট হন আকাশ দীপের বলে। জাকির হাসান তো ২৪ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এ ছাড়া ভালো শুরুর পর আরো একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদমান ইসলাম। ৪ চারে ৩৬ বলে ২৪ রান এসেছে এই বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে।
এএইচএস