পাকিস্তান সিরিজের পর ব্যাপক আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ হাজির হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। যদিও চেন্নাইয়ে সেই আত্মবিশ্বাসের পালে বর রকমের ধাক্কাই খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর টাইগারদের অবস্থা কিছুটা হলেও মলিন। সেই হারের পর দলে এসেছে নানা প্রশ্ন আর বিতর্কও।
পাকিস্তান সিরিজের পর ব্যাপক আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ হাজির হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। যদিও চেন্নাইয়ে সেই আত্মবিশ্বাসের পালে বর রকমের ধাক্কাই খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর টাইগারদের অবস্থা কিছুটা হলেও মলিন। সেই হারের পর দলে এসেছে নানা প্রশ্ন আর বিতর্কও।
শুক্রবার থেকে অবশ্য চেন্নাই টেস্টকে ভুলে গিয়ে নতুন মিশনে নামতে হবে বাংলাদেশকে। কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে হবে তাদের। যদিও মাঠে নামার এই প্রক্রিয়া নিয়েই আছে দুশ্চিন্তা। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, টেস্টের প্রথম দুদিন কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
শুক্রবার শুরু হবে কানপুর টেস্ট। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির বেশ সম্ভাবনা আছে। আকুওয়েদার জানিয়েছে, টেস্টের প্রথম দিন অর্থাৎ শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ, শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সেই সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। বৃষ্টির কারণে খেলা পণ্ড হবে তা অনেকটাই নিশ্চিত। আর সেইসঙ্গে বদল হতে পারে পিচের আচরণ। টাইগার ব্যাটারদের জন্য যা বেশ বড় এক দুশ্চিন্তা।
অবশ্য বৃষ্টির সম্ভাবনার পরও পুরো টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে আশাবাদী উত্তর প্রদেশের ক্রীড়া বিভাগের কর্মকর্তা অমিত পাল, ‘হ্যাঁ, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। নিষ্কাশনব্যবস্থাও এখানে ভালো। আশা করছি, পুরো খেলা হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার পুরো দিনেই গ্রাউন্ডসম্যানরা বৃষ্টির সময়ে কী করণীয় তা নিয়ে ড্রিল করেছেন।
তবে বৃষ্টির বাইরেও বড় সমস্যা হতে পারে কানপুরের দৃষ্টিসীমা। ২০২১ সালে বাজে আলোর কারণে ম্যাচ ড্র করেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। মূলত ব্যাপক আকারের দূষণের কারণে এই স্টেডিয়ামে দৃষ্টিসীমা কমে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম।
পুরাতন এই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিয়েও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ভাষ্য, এরইমাঝে স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারির ওপরের অংশে থাকা ফ্লাডলাইটের ৮টি বাতি নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। আলোকস্বল্পতা দেখা দিলে খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়েও আছে প্রশ্ন।
জেএ