পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি কবরস্থানের জমি দখল করে গড়ে তোলা স্থানীয় যুবলীগ নেতার মাদকের আখড়া গুঁড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্র-জানতা।
পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি কবরস্থানের জমি দখল করে গড়ে তোলা স্থানীয় যুবলীগ নেতার মাদকের আখড়া গুঁড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্র-জানতা।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের সরকারি কবরস্থান এলাকায় মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত ওই ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে সরকারি কবরস্থানের জমি দখল করে টিনশেড দোতলা ঘর তোলেন কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মোল্লা। ওই আখড়ায় মাদক কেনা-বেচা, সেবন ও জুয়ার আসর বসত। ঘরটি যুবলীগ নেতা মিজান মোল্লার মাদকের আখড়া হিসেবেই পরিচিত।
মিজান মোল্লা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। মিজান মোল্লার প্রধান সহযোগী রেজাউল সরকার ওরফে রেজু মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশের একাধিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হলেও রেজাউলকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে আজ রোববার দুপুরে বন্দরের বড় পুকুর পাড় এলাকা থেকে একটি মাদকবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্থানীয় ছাত্র- জনতা। মিছিল নিয়ে ওই মাদকের আখড়া ভেঙে ফেলেন তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা মিজান মোল্লা কবরস্থানের মধ্যে অবৈধভাবে ঘর তুলে মাদক ব্যবসা, সেবন ও জুয়ার আসর বসাতেন। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও প্রতিবাদ করার পরিবেশ ছিল না। প্রতিবাদ করে অনেকে লাঞ্ছনার শিকারও হয়েছেন। মুসলমানের ধর্মীয় পবিত্র স্থানে এমন মাদকের আখড়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হয় না। তাই এলাকার সচেতন ছাত্র-জনতা মাদকের আখড়াটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেনের বলেন, এমন কোনো বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
আরিফুল ইসলাম সাগর/কেএ