এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ায় সিদ্ধান্তকে ঢাকা চেম্বারের সাধুবাদ

এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ায় সিদ্ধান্তকে ঢাকা চেম্বারের সাধুবাদ

কয়েকটি বিলাসবহুল পণ্য ও বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়, এমন কিছু পণ্য ছাড়া সব ধরনের আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পণ্য আমদানি পর্যায়ে স্থবিরতা অনেকাংশে নিরসন হবে এবং শিল্পায়নে গতি সঞ্চার হবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

কয়েকটি বিলাসবহুল পণ্য ও বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়, এমন কিছু পণ্য ছাড়া সব ধরনের আমদানিতে এলসি মার্জিন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পণ্য আমদানি পর্যায়ে স্থবিরতা অনেকাংশে নিরসন হবে এবং শিল্পায়নে গতি সঞ্চার হবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ এমন মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এক সার্কুলারের মাধ্যমে ওই মার্জিন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এছাড়াও দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পখাত উন্নয়নের আর্থিক সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন আরো সহজতর হবে বলেও প্রত্যাশা করছে ডিসিসিআই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে আমদানিকারকরা সব ধরনের মূলধনি যন্ত্রপাতি, ভোক্তা পণ্য, মূলধনী কাঁচামাল-ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়া আমদানি করতে পারবে।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, আমদানি বৃদ্ধি পেলে নতুন বিনিয়োগ, পুনর্বিনিয়োগ, মূলধনী যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতাসহ সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ফলে রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হবে। সেই সঙ্গে শিল্প কলকারখানাগুলোতে কাঁচামালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে শিল্পকারখানাগুলো পূর্ণ সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদনে যেতে পারবে এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়বে সেই সঙ্গে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির উপর।

অপরদিকে, দেশের আর্থিক খাতে চলমান তারল্য সংকট, বিশেষ করে সিএমএসএমইদের সহজ ঋণ প্রাপ্তিতে জটিলতাসহ নানা কারণে এমনিতেই বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ যখন হ্রাস পেয়েছে, ঠিক সেসময় ‘আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল’-এর আওতায় এ ধরনের একটি উদ্যোগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

এছাড়াও, সিএমএসএমই খাতের পণ্য ও সেবার উৎপাদন, আয় ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির জন্য এই তহবিল কাজে আসবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়াতে, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের চাহিদা মেটাতেও এ তহবিল বেশ সহায়ক হবে। বিশেষত সিএমএসএমই’র জন্য এই তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে সুদ হার কোনোক্রমেই ৮ শতাংশের বেশি হবে না এবং এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সুপারভিশন চার্জ, এমনকি আর্লি সেটেলমেন্ট ফি আরোপ করা যাবে না, যা সিএমএসএমইদের জন্য স্বস্তির বিষয়।

ডিসিসিআই বলছে, সিএমএসএমই খাত দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। বিশেষ করে, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাতকে এ সুবিধা অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক সুফল পরিলক্ষিত হবে।

আরএম/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *