চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নগরের জাকির হোসেন সড়কে দুই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান পাশাপাশি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কলেজমাঠে এমইএস কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলছিলেন। এ সময় তাদের ছোঁড়া একটি বল গিয়ে ইস্পাহানি কলেজের এক ছাত্রীর শরীরে পড়ে। এমইএস কলেজের এক শিক্ষার্থী ওই বল আনতে গেলে ইস্পাহানি কলেজের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী এমইএস কলেজের শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। এরপরেই এর প্রতিবাদ করেন এমইএস কলেজের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন উভয়প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষকদের মধ্যেও।
এমইএস কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, ইস্পাহানি স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এসে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে। শিক্ষকদের উচিত এ ধরনের পরিস্থিতি শান্ত করা। আমিও একজন শিক্ষক। সেটি না করে তারা আরও উসকে দিয়েছেন ছাত্রদের। অবশ্যই এর বিচার হওয়া উচিত।
তবে ইস্পাহানির শিক্ষকেরা বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন। তারা বলছেন, পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠানে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে এসব পরীক্ষা হয়। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সমস্যা হয়েছে সেটিও দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাবাদী আমরা।
ওমরগণি এমইএস কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম. সরওয়ার আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমি ইস্পাহানির প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত করে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বহিষ্কারের জন্য বলেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য অবস্থান করছি।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, এমইএস কলেজ এবং ইস্পাহানি কলেজের শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা ঘটনাস্থলে আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী।
আরএমএন/এমজে