লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। ইসরায়েল জানিয়েছে, এই হামলায় প্রাণ গেছে নাসরুল্লাহ ও অন্যান্য কমান্ডারদের।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। ইসরায়েল জানিয়েছে, এই হামলায় প্রাণ গেছে নাসরুল্লাহ ও অন্যান্য কমান্ডারদের।
হাসান নাসরুল্লাহ ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। ওই বছর গোষ্ঠীটির সাবেক প্রধান নেতা আব্বাস আল-মুসাওই ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় প্রাণ হারান। সেই ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর প্রধানের দায়িত্বে আছেন তিনি।
১৯৬০ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জন্ম হয় হাসান নাসরুল্লাহর। নিজের জীবনের শুরুতে লেবাননের গৃহযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে শিয়াদের আমল আন্দোলনে যোগ দেন নাসরুল্লাহ। এক সময় কোরআনের দীক্ষা নিতে ইরাকে যান তিনি। কিন্তু ১৯৭৮ সালে নিজ দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। কারণ ওই সময় শিয়া মুসলিমদের উপর ইরাক সরকার চাপ প্রয়োগ করছিল।
১৯৮২ সালে লেবাননে স্থল হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওই সময় ইসরায়েলিদের প্রতিহত করতে হিজবুল্লাহ নামের সশস্ত্র গোষ্ঠী তৈরি করে ইরানের চৌকস বিপ্লবী গার্ড। নাসরুল্লাহ তখন হিজবুল্লাহতে যোগ দেন। পরবর্তীতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দলটির নেতৃত্বে চলে আসেন তিনি।
নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহর দায়িত্ব নিয়ে তাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাশাপাশি রাজনৈতিক শক্তিতেও পরিণত করেন।
হিজবুল্লাহর চাপে পড়ে ২০০০ সালে দখলদার ইসরায়েল তাদের সেনাদের লেবানন থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার মধ্যপ্রাচ্যে নাসরুল্লাহর গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।
নাসরুল্লাহ একবার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, “আমি ইসরায়েলকে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বাস করি না কারণ এটি দখলদারিত্বের উপর তৈরি হয়েছে।”
নাসরুল্লাহ লেবানন সরকারের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তবে দেশটির প্রশাসনের উপর তার ব্যাপক প্রভাব ছিল। লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর উপরও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারতেন তিনি।
এমটিআই