ইউএস ওপেনের নতুন রানী সাবালেঙ্কা

ইউএস ওপেনের নতুন রানী সাবালেঙ্কা

ইউএস ওপেনের ২০২১, ২০২২ আসরে পরপর সেমিফাইনাল, ২০২৩ আসরে ফাইনালে উঠলেও জেতা হয়নি। অবশেষে এবার টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। আর এর মধ্য দিয়ে ইউএস ওপেনও নতুন রানী পেয়ে গেল। নারী এককের ফাইনালে বেলারুশের এই টেনিস তারকা স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলাকে ৭-৫, ৭-৫ ব্যবধানে হারিয়েছেন।

ইউএস ওপেনের ২০২১, ২০২২ আসরে পরপর সেমিফাইনাল, ২০২৩ আসরে ফাইনালে উঠলেও জেতা হয়নি। অবশেষে এবার টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। আর এর মধ্য দিয়ে ইউএস ওপেনও নতুন রানী পেয়ে গেল। নারী এককের ফাইনালে বেলারুশের এই টেনিস তারকা স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলাকে ৭-৫, ৭-৫ ব্যবধানে হারিয়েছেন।

১২ ব্যবধানে মুদ্রার দুই পিঠই দেখে ফেললেন সাবালেঙ্কা। গত বছর তিনি ইউএস ওপেনের ফাইনালে কোকো গাফের কাছে হেরে লকার রুমে গিয়ে ফ্লোরে র‌্যাকেট ছুঁড়ে মেরেছিলেন। আর নিউইয়র্কে ২০২৪ আসর প্রস্তুত ছিল তার জন্য। সেই দাবি পূরণ করে নিজের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নিলেন সাবালেঙ্কা, এর আগে জানুয়ারিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টাইটেলও জিতেছিলেন।

একইসঙ্গে এই বেলারুশ সুন্দরী একটি রেকর্ডও গড়েছেন, ২০১৬ সালের পর প্রথম কোনো নারী তারকা হিসেবে দুটি হার্ড-কোর্টে টাইটেল জিতলেন। জাপানের নাওমি ওসাকা সর্বোচ্চ চারটি হার্ড-কোর্টে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন ২০১৮ ও ২০২০ ইউএস ওপেন, ২০১৯ ও ২০২১ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। এ ছাড়া পরপর দু’বার ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেও আমেরিকান কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসের (২০১৮-১৯) রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সাবালেঙ্কা।

ফাইনালের মঞ্চ আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ সমর্থন স্বাগতিক তারকা ৩০ বছর বয়সী পেগুলার দিকে। ফলে গতকালের (শনিবার) ম্যাচটিতে সাবালেঙ্কার প্রতিপক্ষ ছিল গ্যালারিও। যেখানে বিভিন্ন অঙ্গনের তারকা ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে অঘটনে ভরা বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে চাপ কম ছিল না তার উপর। তবু ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে লড়াইয়ে খেতাব ছিনিয়ে নিয়ে পেগুলার গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে দিলেন।

দ্বিতীয় সেটে একটা সময় ৫-৩ গেমে এগিয়ে ছিলেন পেগুলা। টেনিসপ্রেমীরা যখন ধরে নিয়েছেন খেলা তৃতীয় সেটে গড়াবে, ঠিক তখনই আস্তিন থেকে নিজের সেরা চাল বের করে আনেন সাবালেঙ্কা। টানা চার গেম জিতে সেট, ম্যাচ এবং ইউএস ওপেন জিতে নেন। গত বছর হারের অন্যতম কারণ হিসাবে দর্শকদের চিৎকারের (গফের প্রতি সমর্থন) কথা বলেছিলেন। পেগুলার মতো গফও আমেরিকার খেলোয়াড়। তাই ফাইনালে স্টেডিয়ামের আবহ কেমন হতে পারে, তার এটা আন্দাজ সাবালেঙ্কার ছিলই। তাও সামলেছেন সফলভাবে।

ম্যাচ জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই বেলারুশ তারকা। তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহুর্তে বাকরুদ্ধ। অনেকবার আমি এমন নিকটে (ফাইনালে) গিয়েছি। তবে জয়ের স্বপ্ন আমার সবসময়ই ছিল। অবশেষে এই সুন্দর ট্রফিটি পেলাম, এজন্য কঠিন দুই সপ্তাহ পার করতে হয়েছে। কখনোই স্বপ্ন দেখা থামাইনি, সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। স্বপ্ন বাস্তবায়নে ত্যাগের মানসিকতা দেখালে সেটি একদিন অবশ্যই জেতা যায়। আমি আমার টিম ও নিজেকে নিয়ে গর্বিত।’ প্রতিপক্ষ পেগুলার প্রশংসা করে সাবালেঙ্কা বলেন, ‘জেসিকা, তুমি দারুণ টেনিস খেলেছ, তুমি নিশ্চয়ই এটি জিততে পারবে। তুমি দুর্দান্ত খেলোয়াড়, বিশেষ করে দ্বিতীয় সেটে ভালো করেছ।’

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *