আজ থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করবে কমিশন

আজ থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করবে কমিশন

২০১০ সাল থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে আজ। বর্তমান সরকারের গঠিত ‘কমিশন অব ইনকোয়ারি’ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো বা জমা দেওয়া যাবে।

২০১০ সাল থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে আজ। বর্তমান সরকারের গঠিত ‘কমিশন অব ইনকোয়ারি’ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো বা জমা দেওয়া যাবে।

গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কমিশনের সংযুক্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা জজ মো. বুলবুল হোসেন এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার (পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সিআইডি, বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড) কোনো সদস্য দ্বারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে সরকার এ কমিশন গঠন করেছে। কমিশনে গুমের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যেকোনো ব্যক্তি অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।

এতে আরও বলা হয়, অভিযোগ জানাতে চাইলে যেকেউ সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে, ডাকের মাধ্যমে অথবা কমিশনের ই-মেইলে লিখিতভাবে পাঠাতে পারবেন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযোগ করা যাবে। এসময়ে অভিযোগ দাখিলের জন্য হটলাইনের মাধ্যমে আগেই সময় নেওয়ার (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) জন্যও অনুরোধ করেছে তারা।

কমিশনের কার্যালয় ঠিকানা হলো—৯৬, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা। ই-মেইল:[email protected]। হটলাইন নম্বর: ০১৭০১৬৬২১২০, ০২-৫৮৮১২১২১।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি অভিযোগনামায় অন্যান্য তথ্যসহ গুমের ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ, ঘটনার স্থান, তারিখ ও সময়, অভিযোগকারী ও তার বাবা-মায়ের নাম, ভুক্তভোগীর নাম ও তার বাবা-মায়ের নাম, ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযোগকারীর সম্পর্ক, অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর ডাক-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল ও অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা সংস্থার নাম-ঠিকানা ইত্যাদি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুযায়ী, অভিযোগনামায় বর্ণিত গুমের ঘটনার সমর্থনে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি, সাক্ষীদের নাম-ঠিকানার তালিকাসহ অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে) দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কমিশন পরে প্রয়োজনবোধে অভিযোগ দাখিলকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ করে এ কমিশন প্রয়োজনীয় তথ্যসংগ্রহ ও সহায়তা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরএইচটি/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *