আইসিসির হল অব ফেমে সাবেক ৩ তারকা

আইসিসির হল অব ফেমে সাবেক ৩ তারকা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৯ সাল থেকে তারকা ক্রিকেটারদের বিশেষ সম্মাননা ‘হল অব ফেম’–এ অন্তর্ভূক্ত করে আসছে আইসিসি। এবার নতুন করে সেই স্বীকৃতি পেলেন ভিন্ন তিন দেশের তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন– দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স, ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক ও ভারতীয় নারী ক্রিকেটার নীতু ডেভিড।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৯ সাল থেকে তারকা ক্রিকেটারদের বিশেষ সম্মাননা ‘হল অব ফেম’–এ অন্তর্ভূক্ত করে আসছে আইসিসি। এবার নতুন করে সেই স্বীকৃতি পেলেন ভিন্ন তিন দেশের তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন– দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স, ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক ও ভারতীয় নারী ক্রিকেটার নীতু ডেভিড।

আজ (বুধবার) এক বিবৃতিতে লম্বা সময় বিশ্ব ক্রিকেটে অনন্য অবদান রাখায় তিন ক্রিকেটারকে হল অব ফেমে অন্তর্ভূক্ত করার কথা জানিয়েছে আইসিসি। কুক-নীত ও ডি ভিলিয়ার্স বিশেষ ওই স্বীকৃতিতে যথাক্রমে ১১৩, ১১৪ ও ১১৫তম সদস্য। আইসিসি বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই আয়োজন করা হবে আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন।

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কুকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তিনি টেস্ট ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। সবমিলিয়ে ১৬১ টেস্টে ৩৩ সেঞ্চুরি ও ৫৭ ফিফটির সৌজন্যে ১২ হাজার ৪৭৩ রান করেন কুক। এতদিন তিনিই ছিলেন টেস্টে ইংলিশদের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। সম্প্রতি তাকে টপকে যান জো রুট। এর বাইরে ৯২ ওয়ানডেতে ৩২০৪ রান ও ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৬১ রান করেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার কুক।

দীর্ঘতম সংস্করণে তিনি অধিনায়ক হিসেবে ঘরের মাঠে ২০১৩ ও ২০১৫ সালের অ‍্যাশেজ জেতেন। অস্ট্রেলিয়া ২০১০-১১ মৌসুমের অ‍্যাশেজে ১২৭.৩৩ গড়ে ৭৬৬ রান করেন তিনি। ২০১২-১৩ মৌসুমে তার নেতৃত্বে প্রায় ২৮ বছর পর ভারতের মাঠে টেস্ট সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড। ওই সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরি করেন কুক। এ ছাড়া টেস্ট ইতিহাসে এক টানা ১৫৯ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও কুকের। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্স-আপ হয়েছিল।

ভারতের সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার নীতু দেশটির হয়ে দ্বিতীয় কোনো ক্রিকেটার হিসেবে হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন। গত বছর ভারতের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে সেই তালিকায় জায়গা পান ডায়ানা এডুলজি। ১৯৯৫-২০০৬ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে মোট ১০টি টেস্ট ও ৯৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন নীতু। টেস্টে তার শিকার ৪১ উইকেট। ওয়ানডেতে নীতুর ‍শিকার ১৪১ উইকেট। ইনিংসে দুইবার ৫ উইকেট ও চারবার ৪ উইকেট নিয়েছেন। 

অন্যদিকে, প্রোটিয়া কিংবদন্তি ডি ভিলিয়ার্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন প্রায় ১৪ বছর। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তিনি ২০ হাজারের বেশি রান করেছেন। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি তো বটেই, টেস্টেও দারুণ স্ট্রোকসমৃদ্ধ ব্যাটিংয়ে দর্শকদের বিনোদন জোগাতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই আফ্রিকান দলপতি। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটি, দ্রুততম সেঞ্চুরি ও দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড এখনও ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। ওয়ানডে-টেস্ট দুই সংস্করণেই পঞ্চাশের বেশি গড় নিয়ে লম্বা সময় আইসিসি ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন তিনি।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *