অলিম্পিয়ান রেবেকার মৃত্যুর পাঁচ দিন পর মারা গেলেন সেই প্রেমিক

অলিম্পিয়ান রেবেকার মৃত্যুর পাঁচ দিন পর মারা গেলেন সেই প্রেমিক

অলিম্পিয়ান রেবেকা শেপেতেগেইয়ের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন প্রেমিক ডিকসন এনডিয়েমা। গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় রেবেকার। আগুন ধরাতে গিয়ে ডিকসনের শরীরও কিছুটা পুড়ে গিয়েছিল। রেবেকার মৃত্যুর পাঁচ দিন পর ডিকসনও মারা গেছেন। যে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিলেন প্রেমিকাকে, সেই আগুনই প্রাণ নিল ডিকসনের।

অলিম্পিয়ান রেবেকা শেপেতেগেইয়ের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন প্রেমিক ডিকসন এনডিয়েমা। গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় রেবেকার। আগুন ধরাতে গিয়ে ডিকসনের শরীরও কিছুটা পুড়ে গিয়েছিল। রেবেকার মৃত্যুর পাঁচ দিন পর ডিকসনও মারা গেছেন। যে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিলেন প্রেমিকাকে, সেই আগুনই প্রাণ নিল ডিকসনের।

আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, আগুনে রেবেকার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাকে কেনিয়ার একটি হাসাপাতালে ভর্তি করানো হলেও বাঁচানো যায়নি। আগুন ধরাতে গিয়ে ডিকসনের শরীরেরও অনেক জায়গা পুড়ে গিয়েছিল। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ডিকসনের।

প্যারিস অলিম্পিক্সে নারীদের ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন রেবেকা। ৪৪তম স্থানে শেষ করেন উগান্ডার এই অ্যাথলেট। উগান্ডার হয়ে অলিম্পিকসে অংশ নিলেও কেনিয়ার এনডেবেসে থাকতেন রেবেকা। সেখানেই ঘটে সেই ঘটনা। 

গত রবিবার সন্তানদের নিয়ে গির্জায় প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন রেবেকা। ফেরার পর তার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন প্রেমিক ডিকসন। যে জমিতে তাদের বাড়ি, সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। ঝগড়া কিছুক্ষণ চলার পরে আচমকাই রেবেকার গায়ে পেট্রল ঢেলে দেন ডিকসন। তার পরে আগুন লাগিয়ে দেন। সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল দুজনেরই।

এদিকে রেবেকাকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যারিস। সেখানকার একটি ক্রীড়াঙ্গনের নাম উগান্ডার অ্যাথলেটের নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অলিম্পিক্স কমিটির কর্তারা। 

প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগো বলেন, প্যারিস কখনও রেবেকার কথা ভুলে যাবে না। আমরা শহরের একটি ক্রীড়াঙ্গন রেবেকার নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে ওর স্মৃতি এবং মর্মান্তিক পরিণতির কথা আমরা সব সময় মনে রাখতে পারি। আশা করি, এই উদ্যোগ নারী-পুরুষের সমানাধিকারের বার্তাকে আরও শক্তিশালী করবে।

এমএসএ  

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *