অলিম্পিক পদকে স্পর্শ!

অলিম্পিক পদকে স্পর্শ!

পোর্তে মেলিয়ত মেট্রো স্টেশনে সাংবাদিকদের যাতায়াত প্রতিনিয়ত। এই স্টেশন কোল ঘেঁষেই প্রধান প্রেস সেন্টার। সাংবাদিকদের কেউ আসছেন, আবার কেউ এখান থেকে অন্য ভেন্যুতে যাচ্ছেন। 

পোর্তে মেলিয়ত মেট্রো স্টেশনে সাংবাদিকদের যাতায়াত প্রতিনিয়ত। এই স্টেশন কোল ঘেঁষেই প্রধান প্রেস সেন্টার। সাংবাদিকদের কেউ আসছেন, আবার কেউ এখান থেকে অন্য ভেন্যুতে যাচ্ছেন। 

দিন দুয়েক আগে লা কর্নোভ থেকে পোর্তো মেলিয়ত স্টেশন পেরিয়ে মেইন প্রেস সেন্টার প্রবেশের পথে খানিকটা জটলা। কয়েক জন অজি সাংবাদিক সেন্টারের বাইরে এক ক্রীড়াবিদের প্রতিক্রিয়া নিচ্ছেন। চোখ পড়ল গলায় অলিম্পিক পদক। তাই খেলোয়াড় না চিনেও থামলাম কিছুক্ষণ। 

প্যারিসের তপ্ত দুপুর। রোদের মধ্যে দাড়িয়েই প্রায় আধ ঘন্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন সেইলিংয়ে রৌপ্য পদকজয়ী। অলিম্পিক গেমসে পদকজয়ীদের সংবাদ সম্মেলন, মিক্সড জোন ছাড়া সাংবাদিকদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয় না। সেখানে সামনাসামনি দেখা হলেও একান্তে কথা বলা ও ছবি তোলার সুযোগ খুবই কম। কখনো ক্রীড়াবিদরা আন্তরিক থাকলেও আয়োজকরা থাকেন কঠোর। একান্তে পাওয়ার সুযোগ সেভাবে মিলে না। তাই বাংলাদেশি দুই জন সাংবাদিক খানিকটা অপেক্ষা করলাম।

অজি সাংবাদিকরা প্রশ্নের পর প্রশ্ন করছেন। আমরা খেলোয়াড় সম্পর্কে কিছুই জানি না। অস্ট্রেলিয়ার টি শার্ট পড়ে পাশে দাড়িয়ে থাকা কর্মকর্তার মাধ্যমে জানলাম, গ্রে মরিস সেইলিংয়ে রৌপ্য জিতেছেন। ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকের পর উইন্ডসার্ফারদের মধ্যে তিনি পদক জিতলেন। এতে বুঝলাম সাংবাদিকদের কেন বাড়তি গুরুত্ব। সেইলিংয়ের ভেন্যু মার্সেই। দূরত্ব বেশি হওয়ায় প্যারিসের অনেক সাংবাদিক যেতে পারেননি। মরিস মার্সেই থেকে প্যারিস আসায় সাংবাদিকদের অনুরোধে প্রেস সেন্টারের সামনে আসেন।

অজি সাংবাদিকদের প্রশ্ন-মন্তব্য, প্রতিক্রিয়া পর্ব শেষের পর আমরা দুইজন বাংলাদেশি সাংবাদিক পরিচয় দিলাম। বেশ আন্তরিকভাবেই কাছে টেনে নিলেন। ছবি তোলার এক পর্যায়ে তিনিই গায়ে হাত দিলেন। অলিম্পিকের পদক সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনের আরাধ্য। সেই পদকও ধরার জন্য হাত দিয়ে উপরে উঠালেন। এক মিনিটের কম সময় ধরে রাখলাম। একটু শক্ত ধাতব পদার্থ। শক্ত হলেও খানিকটা শীতলতা রয়েছে যেন। এপিঠ-ওপিঠ ঘুরিয়ে দেখলাম। পদকের ফিতাও খুব সুন্দর। 

সেইলিং অনেকটা সার্ফিংয়ের মতোই ঢেউয়ের মধ্যে খেলা। অজি পদকজয়ী আলাপের এক পর্যায়ে বাংলাদেশে সার্ফিং-সেইলিং নিয়ে জানতেও চাইলেন। বাংলাদেশে সেইলিং হয় না, সার্ফিং এসোসিয়েশন থাকলেও কার্যক্রম মাঝে মধ্যে হয়। সার্ফারদের মধ্যে বাংলাদেশে জাফর আলমের নামই পরিচিত।

এজেড/এইচজেএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *