অগণিত কাশফুলে শরতের শুভ্রতা ছড়াচ্ছে বরগুনার বিসিক শিল্পনগরী

অগণিত কাশফুলে শরতের শুভ্রতা ছড়াচ্ছে বরগুনার বিসিক শিল্পনগরী

বর্ষাকে বিদায় জানাতে সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে প্রকৃতিতে শুভ্রতা নিয়ে আসে শরৎকাল। কাশফুলের সাদা রঙের সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে মানুষের মন। ঠিক এই সময়ে বরগুনার বিসিক শিল্প নগরী এলাকা ছেয়ে গেছে সাদা রঙের ফোটা অগণিত কাশফুলে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, তরুণ থেকে তরুণী সবারই বিনোদন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে বরগুনার বিসিক শিল্প নগরী এলাকা। 

বর্ষাকে বিদায় জানাতে সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে প্রকৃতিতে শুভ্রতা নিয়ে আসে শরৎকাল। কাশফুলের সাদা রঙের সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে মানুষের মন। ঠিক এই সময়ে বরগুনার বিসিক শিল্প নগরী এলাকা ছেয়ে গেছে সাদা রঙের ফোটা অগণিত কাশফুলে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, তরুণ থেকে তরুণী সবারই বিনোদন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে বরগুনার বিসিক শিল্প নগরী এলাকা। 

সরেজমনি বিসিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিল্প নগরীর চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরের বিস্তৃত এলাকায় ফুটেছে হাজারো কাশফুল। এ কাশবনে ফুটে থাকা সাদা রঙের শুভ্রতা উপভোগ করতে ভিড় করছেন নানা বয়সের মানুষ। কাশফুলে বাতাসের দোলায় মুখরিত হয়ে পড়া বিসিক শিল্প নগরী এলাকাটি স্থানীয়দের কাছে যেন পরিণত হয়েছে বরগুনার একখণ্ড ঢাকার দিয়াবাড়ি। প্রতিদিন বিকেল হলেই এখানে ভিড় করেন তরুণ-তরুণী, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত নানা বয়সী মানুষ।

কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ আপন মনে গান গাইছেন, কবিতা আবৃত্তি করছেন। কেউ আবার প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের ভিডিও কিংবা সেলফি তুলে সময় পার করছেন। এছাড়া পরিবারের সঙ্গে আসা শিশুরাও আনন্দে উচ্ছ্বাসিত সাদা কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে।

আসমা চৌধুরী বরগুনার ইসলামি ব্যাংকে কর্মরত থাকার সুবাদে তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে বরগুনায় বসবাস করছেন। পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি একজনের কাছে শুনেছি বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় কাশফুল আছে। এসে দেখলাম এখানের প্রচুর কাশফুল ফুটেছে, আমি এত কাশফুল একসঙ্গে এর আগে কখনো দেখিনি। প্রথমবার এত কাশফুল একসঙ্গে দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

সপরিবারে ঘুরতে এসে সুদিপা দাস সেতু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বইতে পড়েছি সাদা মেঘ আকাশে ওড়ে এবং চারিদিকে কাশফুল ফোটে। বরগুনার বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় এসে এরই প্রমাণ পেয়েছি। এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না বরগুনায় এমন সুন্দর একটি দর্শনীয় জায়গা তৈরি হয়েছে। এমন শুভ্রতার মাঝে ঘুরতে আসতে আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই।

রাহাত সরকার বন্ধুদের সঙ্গে কাশফুল দেখতে এসে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন কাশফুল ঢাকার দিয়াবাড়িতে দেখা যায়। এছাড়া বরিশালেরও কিছু জায়গায় দেখা যায়। তবে আমাদের বরগুনার মধ্যে এত কাশফুল আর কোথাও নেই। এখানে ঘুরতে আসলে সবারই মন ভালো হয়ে যায়। একারণে আমরা বন্ধুরা মিলে এখানে ঘুরতে এসেছি।

বরগুনা পর্যটন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শরৎকালে সর্বত্রই কাশফুল ফোটে। বিশেষ করে যত পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে সেসব জায়গায় কাশফুল ফুটলে তা আলাদা একটি মাত্রা যোগ করে। এছাড়াও শরৎকালের নিল আকাশ এবং বরগুনার বিসিক শিল্প নগরীসহ যে-সব জায়গায় কাশফুল ফুটেছে সেখানে তরুণ-তরুণীসহ অসংখ্য মানুষ ভ্রমণে আসেন। বরগুনার জন্য এটি একটি ভালো দিক।

আব্দুল আলীম/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *