টস জিতে শুরুতে বোলিং নিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বলে পাকিস্তানি ব্যাটারদের চেপে ধরেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদ। তাদের গতি আর সুইংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় পাক টপ অর্ডার। পরবর্তীতে সেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহ গড়েছে তারা।
টস জিতে শুরুতে বোলিং নিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বলে পাকিস্তানি ব্যাটারদের চেপে ধরেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদ। তাদের গতি আর সুইংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় পাক টপ অর্ডার। পরবর্তীতে সেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহ গড়েছে তারা।
১১৩ ওভার খেলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ৬ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ গড়েছে ৪৪৮ রান। ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাছাড়া ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শাহিন আফ্রিদি।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল পাকিস্তান। গত দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার আজ সকালে দেখে-শুনে খেলেছেন। এরপর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। শাকিল-রিজওয়ান জুটিকে প্রথম সেশনে কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা।
দুজনই ফিফটি করে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যান। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুত রান তোলেন তারা। তাতে দুজনই পেয়ে যান তিন অঙ্কের দেখা। এই দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটি বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত শাকিলকে সাজঘরে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
ইনিংসের ৯৫তম ওভারের শেষ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজ। সামনের পা খানিকটা এগিয়ে ‘ভি’ জোনে খেলতে চেয়েছিলেন সৌদ শাকিল। টার্নে বলের লাইন মিস করেন। বল চলে যায় সরাসরি উইকেটকিপারের গ্লাভসে। লিটন দাস সেখানে দুর্দান্ত ছিলেন, দ্রুত উইকেট ভাঙেন তিনি। রিপ্লেতে দেখা যায় যখনই পা লাইনে ঢুকছে, তখনই উইকেট ভাঙছে। শেষ পর্যন্ত বেনিফিট অব ডাউট গেছে বাংলাদেশের পক্ষেই। তাতে ভেঙেছে ২৪০ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। শাকিল থেমেছেন ২৬১ বলে ১৪১ রান করে।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম দিনে কোনো উইকেটের দেখা পাননি সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় দিনেও প্রথম দুই সেশনে উইকেট শূন্য ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। অবশেষে নিজেদের ২৫তম ওভারে এসে সাফল্যের খোঁজ পান তিনি।
১০৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ঝুলিয়লে দিয়েছিলেন সাকিব। সেখানে মিড উইকেটের দিকে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আগা সালমান। একেবারেই টাইমিং হয়নি, ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে। মিরাজের হাতে ধরা পড়ার আগে ৩৬ বলে ১৯ রান করেন সালমান।
এরপর উইকেটে এসে দ্রুত রান তোলার মনোযোগ দেন আফ্রিদি। ২৪ বলে করেন অপরাজিত ২৯ রান। অপর প্রান্তে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। এই উইকেটকিপার ব্যাটার দলের বিপদের সময় উইকেটে এসেছিলেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এগোচ্ছিলেন ব্যক্তিগত ডাবল সেঞ্চুরির পথে। তবে দলের প্রয়োজনে ১৭১ রানে অপরাজিত থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
এইচজেএস