বন্যায় বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ি

বন্যায় বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ি

আগে কখনোই খাগড়াছড়ি জেলায় এমন বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন।

আগে কখনোই খাগড়াছড়ি জেলায় এমন বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন।

এর আগে কখনো পানি ওঠেনি এমন জায়গাও এবার পানিতে তলিয়ে গেছে। নৌকার সংকট থাকায় প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে তৈরি ভেলায় করে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। বন্যায় দীঘিনালা উপজেলার মেরং বাজারের দোকানপাট তলিয়ে গেছে। এছাড়া ছোট মেরুং বাজারের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে।

মেরং বাজারের ব্যবসায়ী রহমত মিয়া বলেন, এবারের মতো বন্যা এর আগে কখনও দেখিনি। মানুষের আশ্রয় নেওয়া স্কুলগুলোতেও পানি উঠে গেছে। বৃষ্টি বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল থেকে খাগড়াছড়ি সদরে পানি নামতে শুরু করেছে। বিকেল ৫টার দিকে বিভিন্ন পয়েন্টে ৪-৫ ইঞ্চি পানি কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন দ্বায়িত্বে থাকা জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে। তবে দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি সদরের শব্দমিয়া পাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পর পর চারবার হওয়া বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয়েছে আসবাবপত্র ও সংসারে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এত পানি বৃদ্ধি পাবে কখনও ভাবতেই পারেননি অনেকে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক জায়গায় সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়েছে। এছাড়া পানিতে সড়ক তলিয়ে থাকায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে এখন পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ আছে অধিকাংশ সড়কেই।

মানবিক সহায়তায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে সকাল থেকেই কাজ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি এবং দীঘিনালা জোনের সদস্যরা। এর পাশাপাশি বানভাসি জনসাধারণকে উদ্ধার এবং ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও থাকছেন বানভাসি জনসাধারণের পাশে। উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি তারা ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন।

মোহাম্মদ শাহজাহান/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *