ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী গতকাল বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। আজ (শনিবার) সেপ্টেম্বর উইন্ডোর জন্য জাতীয় দল ঘোষণার সময় উঠে আসে হামজার প্রসঙ্গ। এ নিয়ে কথা বলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ও জাতীয় দলের স্প্যানিশ হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী গতকাল বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। আজ (শনিবার) সেপ্টেম্বর উইন্ডোর জন্য জাতীয় দল ঘোষণার সময় উঠে আসে হামজার প্রসঙ্গ। এ নিয়ে কথা বলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ও জাতীয় দলের স্প্যানিশ হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
সাধারন সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানান– হামজার বাংলাদেশের হয়ে খেলার পরবর্তী প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হামজার পরিবার গতকাল পাসপোর্ট গ্রহণ করেছে। এটা আমরা জানার পরই গতকাল ইংলিশ ফুটবল এসোসিয়েশনকে অনাপত্তিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তাদের অনাপত্তিপত্র পেলে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে তুলব। দ্রুতই এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারব আশা করছি।’
বর্তমান জাতীয় দলেই জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজী প্রবাসী বংশোদ্ভুত ফুটবলার। এদের দুই জনের প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা হামজার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে বলে মনে করেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক, ‘তারিক ও জামালের চেয়ে তার বিষয়টি ভিন্ন। এরপরও আমাদের দুটি অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা এক্ষেত্রেও কাজে লাগবে প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে।’
বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। সেই লিগে খেলা হামজা চৌধুরি বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন এই আশায় বুক বেধে আছেন বাংলাদেশের অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী। জাতীয় দলের স্প্যানিশ হেড কোচও সেই আশায় রয়েছেন বলে জানান, ‘নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য দারুণ হবে বিষয়টি। তিনি অত্যন্ত ভালো মানের খেলোয়াড়, শুধু খেলার মাঠ নয়, মাঠের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে তার কাছ থেকে। তাকে পেলে বাংলাদেশ দল আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাকে পাব।’
বাফুফের পরিকল্পনা– যত দ্রুত সম্ভব হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। সেপ্টেম্বরে উইন্ডোতে তার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পরবর্তী উইন্ডোতে যেন খেলতে পারেন, সেই চেষ্টাই করছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এজেড/এএইচএস