এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া শত শত অভিবাসী ব্রাজিলের সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন। ব্রাজিলে প্রবেশের অপেক্ষায় ওই বিমানবন্দরের মেঝেতে মানবেতর পরিস্থিতিতে রয়েছেন তারা। দেশটির সরকারি এক নথিতে দেখা গেছে, সাও পাওলোর বিমানবন্দরে আটকা পড়া প্রায় শতাধিক অভিবাসীর বেশিরভাগই ভারত, নেপাল এবং ভিয়েতনামের নাগরিক।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া শত শত অভিবাসী ব্রাজিলের সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন। ব্রাজিলে প্রবেশের অপেক্ষায় ওই বিমানবন্দরের মেঝেতে মানবেতর পরিস্থিতিতে রয়েছেন তারা। দেশটির সরকারি এক নথিতে দেখা গেছে, সাও পাওলোর বিমানবন্দরে আটকা পড়া প্রায় শতাধিক অভিবাসীর বেশিরভাগই ভারত, নেপাল এবং ভিয়েতনামের নাগরিক।
ব্রাজিলের পাবলিক ডিফেন্ডার অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ঘানা থেকে আসা ৩৯ বছর বয়সী একজন অভিবাসী বিমানবন্দরে দুই সপ্তাহ আগে অজ্ঞাত কারণে মারা গেছেন। বিমানবন্দরে থাকাকালীন নাকি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি স্পষ্ট নয়।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভিসা ছাড়াই কমপক্ষে ৬৬৬ জন অভিবাসী গুয়ারুলহোস বিমানবন্দরে ব্রাজিলে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ব্রাজিল হয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় যাওয়ার অপেক্ষায় ওই বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন তারা। তবে ব্রাজিলের সরকার ব্রাজিলকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাগামী ঢল নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ব্যাপক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছেন ওই অভিবাসীরা।
বিমানবন্দরের নির্দিষ্ট একটি এলাকায় রাখা হয়েছে অভিবাসীদের; যেখানে গোসলের সুযোগ নেই এবং তাদের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে তাদের খাবার ও পানির সংকট চলছে। দেশটির ওই কর্মকর্তা বলেছেন, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীরা কম্বল ছাড়াই শীতের প্রবল ঠান্ডা সহ্য করছে।
এই ঘটনায় অভিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের পাবলিক ডিফেন্ডার অফিস। সংস্থাটি বলেছে, অভিবাসীদের সংকট সমাধানে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। শরণার্থীদের গ্রহণ এবং নিজ দেশে ফেরত না পাঠানোর মানবিক নীতির ভিত্তিতে ব্রাজিলের আইন মেনে চলার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ব্রাজিলের জননিরাপত্তাবিয়ষক মন্ত্রণালয় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ব্রাজিলের ভিসাবিহীন বিদেশি ভ্রমণকারী; যারা অন্য দেশের দিকে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই সরাসরি গন্তব্যে যেতে হবে অথবা নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। এই প্রক্রিয়া আগামী সোমবার থেকে শুরু করা হবে।
এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের এই মন্ত্রণালয় বলেছে, বিদেশি ভ্রমণকারীরা এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকা যাওয়ার পথে সাময়িক বিরতি নেওয়ার জন্য ব্রাজিলে অবতরণ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা ব্রাজিলে প্রবেশের জন্য শরণার্থীর মর্যাদা চেয়েছেন। তারা নিজ দেশে নিপীড়ন এবং হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিসা ছাড়া সাও পাওলোতে আসা যাত্রীদের ব্রাজিলে থাকতে দেওয়া হবে না। তবে ইতোমধ্যে সাও পাওলো বিমানবন্দরে পৌঁছানো অভিবাসীদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম এখনই প্রযোজ্য হবে নাকি নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর আগতদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সেটি স্পষ্ট নয়।
এসএস