স্মার্টফোন যেভাবে শিশুদের ক্ষতি করে

স্মার্টফোন যেভাবে শিশুদের ক্ষতি করে

পড়ালেখা থেকে বিরত রাখে

স্মার্টফোন প্রায় সবার জন্য দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি শিশুর থেকে দূরে রাখা মুশকিল। তাইতো স্মার্টফোন যেমন তাদের জন্য বিনোদনের উৎস তেমনই ফেলতে পারে ক্ষতিকর প্রভাব। যদিও মোবাইল ফোন শিশুকে সংযুক্ত থাকতে এবং নতুন জিনিস শিখতে সাহায্য করে, কিন্তু এটি হাতে পেলে তাদের পড়াশোনা এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কীভাবে স্মার্টফোন শিশুর শিক্ষা এবং সুস্থতার ওপর প্রভাব ফেলছে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

পড়ালেখা থেকে বিরত রাখে

স্মার্টফোন খুব সহজেই যে কারও মনোযোগ আকর্ষণ করে। বিশেষ করে পড়াশোনার সময়ে এটি হাতে পেলে শিশুরা এর লোভনীয় সব অ্যাপ রেখে পড়ায় মন দিতে চায় না। এই বিভ্রান্তির কারণে তাদের একাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হতে পারে।

এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য পড়াশোনা করার সময় বাবা-মাকে কিছু কাজ করতে হবে। যেমন শিশুর পড়াশোনার সময় মা-বাবাকেও ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে। তখন তাদের ফোনে ‌‘ডোন্ট ডিস্টার্ব মুড’ অন করে রাখতে হবে। শিশুরা যে সময় এবং অ্যাপ ব্যবহার করে সে বিষয়েও তাদের নিয়ম সেট আপ করতে হবে। পড়ার সময় ফোন দূরে রাখলে তা মনোযোগ উন্নত করতে সাহায্য করবে।

অনলাইন গেমে আসক্তি

শিশুরা ফোন হাতে পেলে তা দিতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। এর বদলে তারা বরং অনলাইন গেমিং-এ ঘণ্টার ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারে, যা আসক্তির পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি তাদের পড়ার সময়কে সংক্ষিপ্ত করে এবং ঘুমেও বিঘ্ন ঘটায়, যা তাদের জন্য ক্লাসে মনোনিবেশ করা আরও কঠিন করে তোলে।

এক্ষেত্রে অভিভাবকদের খেলার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত, বিশেষ করে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে। ডিভাইস ব্যবহার না করে শিশুদের বিনোদন দিতে তাদের অফলাইন শখ, খেলাধুলা এবং পড়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন।

সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহার

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো আজকাল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি প্রধান বিভ্রান্তি। শিশুদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। এর ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রলিং এবং চ্যাটিং হয়। এটি শুধুমাত্র পড়ার সময়ই নষ্ট করে না বরং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে, কারণ শিশুরা অন্যদের পোস্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বা সমবয়সীদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করার জন্য চাপ অনুভব করতে পারে।

এই সময় বাবা-মায়ের জন্য সন্তানদের সামাজিক মিডিয়ার খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে শেখানো উচিত, যেমন আত্ম-সম্মানে এর প্রভাব। অভিভাবকদের উচিত তাদের শিশুদের সামাজিক অ্যাপ থেকে বিরতি নিতে শেখানো। শিশুদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে সব সময় অনলাইনে থাকা ঠিক নয়। যে অ্যাপগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ট্র্যাক এবং সীমিত করে সেগুলোও শিশুদের পড়াশোনার সঙ্গে ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করতে পারে।

এইচএন

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *