শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবি

শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবি

শক্তি প্রয়োগ করে শ্রমিক আন্দোলন দমনের অপচর্চা বন্ধে সংস্কার এবং শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।

শক্তি প্রয়োগ করে শ্রমিক আন্দোলন দমনের অপচর্চা বন্ধে সংস্কার এবং শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি খালিদুজ্জামান লিপন বলেন, বৈষম্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। এই শিল্পে চলে ঠকানোর প্রতিযোগিতা। একদিকে, গার্মেন্টস কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করে কয়েক লাইনের কারখানা থেকে বিশাল বিশাল কারখানা এমনকি শিল্প গ্রুপের মালিক হয়েছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতারা উৎপাদন খরচের দশগুণ মুনাফা করছে। ফলে, প্রতি মুহূর্তে স্ফীত হচ্ছে কারখানা মালিক। আর ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা অতিরিক্ত শ্রমের বিপরীতে পুষ্টিকর খাবার না পেয়ে অনেক কম বয়সে কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের সামান্য মজুরিও নিয়মিত পরিশোধ না করতে, বিশেষ করে শ্রমিকের চাকরি অবসানকালীনন পাওনা আত্মসাৎ করতে শ্রম আইনের অপব্যবহার ছাড়াও স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ঝুট সন্ত্রাসী আর দালাল শ্রমিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে শ্রমিক নিপীড়নের ভয়ংকর একটা নেক্সাস তৈরি করেছে। গার্মেন্টস মালিকরা ক্রেতাদের নিকট থেকে ন্যায্যমূল্য আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল শিল্প সম্পর্ক তৈরির পরিবর্তে নিপীড়ন আর হয়রানির মাধ্যমে শ্রমিকের প্রতিবাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করে, দরকষাকষির সক্ষমতা গুড়িয়ে দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রায় দাসত্বের জীবনে বেধে রেখে মুনাফা সর্বোচ্চকরণকে বাধাহীন করার লক্ষ্যে গড়ে তুলেছে এই অশুভ নেক্সাস। স্বৈরাচারী সরকারের প্রশ্রয়ে গার্মেন্টস মালিকদের গড়ে তোলা শ্রমিক ঠকানোর সিন্ডিকেট ভেঙে আধুনিক দাসত্বের জীবন থেকে একটি মানবিক জীবনে উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা থেকেই গার্মেন্টস শ্রমিকরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছে, জীবন দিয়েছে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।

/এমএইচএন/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *