উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায় রাশিয়া। ১৫ আগস্ট দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক শুভেচ্ছাবার্তায় এ আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায় রাশিয়া। ১৫ আগস্ট দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক শুভেচ্ছাবার্তায় এ আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিনের এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনও। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে কিম বলেন, “রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যকার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। দুই দেশের শত্রুপক্ষ এক এবং এই শত্রুর বিরুদ্ধে রক্তাক্ত লড়াই এ বন্ধুত্বের ভিত্তি। এই বন্ধুত্বকে আমরা বিস্তৃত সহযোগিতা এবং অজেয় কমরেডশিপে নিয়ে যেতে চাই।”
গত বছর সেপ্টেম্বরে মস্কো সফরে যান কিম জং উন। তার সেই সফরের ৯ মাস পর, গত জুন মাসে পিয়ংইয়ং সফরে আসেন পুতিন। সেই সফরে ‘বিস্তারিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’র চুক্তি স্বাক্ষর হয় দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এই চুক্তির প্রতিরক্ষা সহযোগিতাও ছিল।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে মস্কোকে নিয়মিত রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে পিয়ংইয়ং। এই অভিযোগ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের আলোচনার মধ্যেই উত্তর কোরিয়াকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন পুতিন।
অবিভক্ত কোরিয়া একসময় জাপানের উপনিবেশ ছিল। ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৫ বছরের যুদ্ধে স্বাধীনতা লাভ করে কোরিয়া উপদ্বীপ; একই সঙ্গে জন্ম হয় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া নামের দু’টি পৃথক রাষ্ট্রের।
কোরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ চলমান অবস্থাতেই ১৯৩৯ সালে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সে সময় কোরিয়াকে সেনা, গোলাবারুদ এবং রসদ দিয়ে সহযোগিতা করেছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। স্বাধীনতার পর উত্তর কোরিয়া তৎকালীন সোভিয়েত ব্লকে প্রবেশ করে, আর দক্ষিণ কোরিয়া মিত্রতা স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে যেসব রুশ সেনা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের কবরস্থান রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সেই কবরস্থানে যান কিম। এবারও গিয়েছিলেন।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ