শিগগির প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৩য় ধাপের ফল নিয়ে সিদ্ধান্ত

শিগগির প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৩য় ধাপের ফল নিয়ে সিদ্ধান্ত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফলাফলের বিষয়ে আইনি জটিলতা নিয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ৷

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফলাফলের বিষয়ে আইনি জটিলতা নিয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ৷

বুধবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি৷

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ফলাফল প্রকাশের জন্য আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়েছিলাম৷ আমরা জানতে পেরেছি তারা এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য ফাইল পাঠিয়েছিলো৷ এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আমি এবং আমাদের উপদেষ্টা যোগাযোগ করেছি৷ আইন উপদেষ্টার সাথেও আমাদের উপদেষ্টা যোগাযোগ করেছেন৷ আইন মন্ত্রণালয় থেকে তারা একটা মতামত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে৷ এবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ফাইল আমাদের কাছে দিলেই আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব৷

তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল পাবো তত দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব৷

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ শামীম সোহেল বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত পেয়েছি৷ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাইলটি যাচাই-বাছাই করে যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে৷

এদিকে ৪ মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করছেন তৃতীয় ধাপের ফল প্রত্যাশীরা৷ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী ১ম ও ২য় ধাপের ন্যায় দ্রুত সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য তারা তিন মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছেন৷ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সচিব বরাবর এ আবেদন করেন তারা৷

তিন মন্ত্রণালয়ে করা ওই আবেদনে ফল প্রত্যাশীরা বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা একটি বিধিমালা রয়েছে। যেটি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ নামে পরিচিত। উক্ত বিধিমালার অধীনেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ একটি বিশাল নিয়োগ কার্যক্রম হওয়ায়, নিয়োগে কার্যক্রম ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৪ই জুন আমাদের তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমাদের লিখিত পরীক্ষা গত ২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে সম্পন্ন হয় এবং মৌখিক পরীক্ষা সর্বশেষ গত ১২ই জুন সম্পন্ন হয়। তাছাড়া প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ- ২০২৩ এর ১ম ও ২য় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে সর্বশেষ প্রণীত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারেই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

আবেদনে তারা বলেন, যেহেতু ১ম ও ২য় ধাপের বিদ্যালয়ে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায়, শুধুমাত্র তৃতীয় ধাপে অন্য কোন নীতি অনুসরণ করা হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ, অযৌক্তিও আমাদের প্রতি বৈষম্য হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ৪৬,১৯৯ প্রার্থী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। শিশুদের পাঠদানের ক্ষেত্রে নারীদের মাতৃত্বের কোমলতা, সহনশীলতা, ধৈর্য এবং আনন্দের সহিত পাঠ দান লক্ষ্য করা যায়; যা শিশুদের শিখন পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষকতায় প্রাথমিক শিক্ষকদের আদর্শ এবং নারী ও শিক্ষকদের সন্তানদের ভালোবাসা লক্ষ্য করা যায়। তাই বলা যায়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষিত নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ কে গুরুত্ব না দিলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট যেমন তৈরি হবে, কেমনি কোমলমতি শিশুরা মানসম্মত পাঠদান হতে বঞ্চিত হবে।

আবেদনে তারা আরও বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধি কোনো প্রজ্ঞাপন নয়, বিধিমালা। আইনের পর বিধিমালা, বিধিমালার পর প্রজ্ঞাপন, প্রজ্ঞাপনের পর অফিস আদেশ। সাম্প্রতিক প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা বিষয়ক প্রজ্ঞাপনের সাথে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ সাংঘর্ষিক নয়। আমরা জানতে পেরেছি যে, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পরেই তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হবে। সুতরাং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সর্বশেষ প্রণীত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা- ২০১৯ অনুসরণ করে ১ম ও ২য় ধাপের ন্যায় অতি দ্রুত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফলাফল প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি৷

এমএম/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *