সাড়ে ৩ মাস অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিমুখ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসিক ট্রমা কাটাতেও কাজ করবে প্রশাসন।
সাড়ে ৩ মাস অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিমুখ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসিক ট্রমা কাটাতেও কাজ করবে প্রশাসন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়া প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পরে ক্লাসে ফিরতে পারছি। সামনে আমাদের বড় মাপের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা কিছু সময় পড়াশোনার মধ্যে থাকতে পারিনি। কীভাবে সেটা দ্রুত সময়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় আমাদের সে ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক সবাই মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন। আমরা সেই ট্রমা ও সার্বিক মানসিক ও শারীরিক কল্যাণে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়কে জনগণের প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। তা নিরসনেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনাদের সহযোগিতা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত অর্থে আমরা জনগণের প্রতিষ্ঠান মনে করি। সর্বজনতার এখানে দায় ও অধিকার আছে। আমরা সবার সহযোগিতায় কার্যকরভাবে এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবো এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো বলে মনে করি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তারা সমাজের দর্পণ এবং তাদের মাধ্যমেই সমাজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের মাধ্যমেই এ যোগাযোগ রেখে সব কার্যক্রম চালিয়ে নিতে চাই।
কেএইচ/এসএম