বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
যেসব কারণে সরকারের চক্ষুশূলেও পরিণত হয়েছিলেন তিনি। তবুও ফারুকী দমে যাননি। সরকার পতনের একদফা দাবিতেও সরব হয়েছিলেন।
যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সম্প্রতি অন্তবর্তীকালীন সরকার তাদের চিকিৎসার জন্য একটি ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাদের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফারুকী। বুধবার (২১ আগস্ট) এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের চিকিৎসার জন্য ফাউন্ডেশন গঠন একটা গ্রেট ইনিশিয়েটিভ। এটা আরও সিগনিফিক্যান্ট কারণ এর প্রধান প্রফেসর ইউনুস নিজে।
এরপর ফারুকী লেখেন, উই নেভার ফরগেট আওয়ার হিরোজ। মনে রাখতে হবে, এটা সাধারণ একটা সরকার পরিবর্তনের লড়াই ছিল না। এটা ছিল নাজিবাহিনীর মতো ভয়াবহ অমানবিক একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে লড়াই। ব্যর্থ হলে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাখতো না এই নৃশংস এবং খুনি রেজিম।
ফারুকী চান না ভবিষ্যতে দেশে আর কোনো স্বৈরাচারী সরকারের জন্ম হোক। সেজন্য এই নির্মাতা লেখেন, এ প্রসঙ্গে আরেকটা কথা বলে রাখতে চাই, সরকার ভালো হয়, খারাপ হয়। সেটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনাও হতে পারে। কিন্তু সরকার ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠা জাতির জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য। এখন আইন বিশেষজ্ঞদের খতিয়ে দেখা দরকার দেশের কি কি করণীয় আছে, শাস্তি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে- যাতে আর কেউ এরকম ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠতে পারে। হিটলারের পতনের পর জার্মানরা কি কি করেছিলো এগুলো গবেষণা করে দেখা যেতে পারে।
এনএইচ