যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে তুরস্কগামী একটি বিমান যাত্রীদের মারামারির কারণে জরুরি অবতরণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন যাত্রী একে-অপরের দিকে উত্তপ্ত হয়ে তেড়ে যাচ্ছেন, মারার জন্য চেষ্টা করছেন। ওই সময় কেবিন ক্রুরা তাদের থামাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে তুরস্কগামী একটি বিমান যাত্রীদের মারামারির কারণে জরুরি অবতরণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন যাত্রী একে-অপরের দিকে উত্তপ্ত হয়ে তেড়ে যাচ্ছেন, মারার জন্য চেষ্টা করছেন। ওই সময় কেবিন ক্রুরা তাদের থামাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
তখন স্পিকারের মাধ্যমে যাত্রীদের সতর্ক করার চেষ্টা করেন বিমানের ক্যাপ্টেন। তাকে বলতে শোনা যায়, “ক্যাপ্টেন কথা বলছি। যারা মারামারি করছেন তাদের জন্য পুলিশ অপেক্ষা করছে। আপনারা নিজেরাই নিজেদের খারাপ করছেন। দয়া করে বসুন।” তবে ক্যাপ্টেনের কথাও কর্ণপাত করেননি তারা।
পরবর্তীতে তুরস্কে যাওয়ার আগে বিমানটি গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সে ল্যান্ড করে। ওই সময় পুলিশ সদস্যরা আসেন।
ওই ফ্লাইটে থাকা এক যাত্রী জানিয়েছেন মারামারির সূত্রপাত হয়েছে দুই পরিবারের মধ্যে। বিমানটি উড্ডয়ন করার ৪০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মারামারি বাধে। ওই সময় বিমানটি ৩০ হাজার ফুট উঁচুতে ছিল। তখনই পাইলট দিক পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মেট্রো জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সী এক যুবক এক নারীকে গিয়ে বলেন, তিনি যেন অন্য একটি আসনে গিয়ে বসেন। ওই যুবক মূলত তার স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বসতে চাইছিলেন।
কিন্তু ওই নারী নিজের আসন ছাড়তে চাননি। কারণ তিনিও তার মেয়েকে নিয়ে বসেছিলেন। তখন ২০ বছর বয়সী যুবক তাকে হুমকি দেওয়া শুরু করেন। এরপর বিমান আকাশে ওঠে যাওয়ার পর ওই নারীর স্বামী এসে তর্ক শুরু করেন।
সূত্র: দ্য মেট্রো
এমটিআই