পঞ্চগড়ের বন্ধ চিনিকল চালুর দাবি

পঞ্চগড়ের বন্ধ চিনিকল চালুর দাবি

চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে উত্তরের জেলার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান পঞ্চগড় চিনিকল। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার পর থেকে বেকার হয়ে পড়ে হাজারো শ্রমিক। দীর্ঘদিন ধরে চিনির কলটি চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন চিনিকলের সদ্য চুক্তিভিত্তিক চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষি ও ব্যবসায়ীরা। বৈষম্য ও দুর্নীতির শিকার হওয়ার নানা অভিযোগ তাদের।

চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে উত্তরের জেলার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান পঞ্চগড় চিনিকল। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার পর থেকে বেকার হয়ে পড়ে হাজারো শ্রমিক। দীর্ঘদিন ধরে চিনির কলটি চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন চিনিকলের সদ্য চুক্তিভিত্তিক চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষি ও ব্যবসায়ীরা। বৈষম্য ও দুর্নীতির শিকার হওয়ার নানা অভিযোগ তাদের।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড়ের ধাক্কামাড়া ইউনিয়নের চিনিকল বাজারে পঞ্চগড়-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ, গণঅধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জেলা শাখার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয়দের পাশাপাশি চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী সিডিএ আবু বক্কর সিদ্দিক (বাবু), পঞ্চগড় সুগার মিলের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম বুলেট, সাবেক শ্রমিক নেতা নায়েবুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ পঞ্চগড় শাখার আহ্বায়ক মাহাফুজার রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আরিফ উজ জামান ও চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, চার বছর থেকে পঞ্চগড় সুগার মিলে আখ মাড়াই বন্ধ রয়েছে। এতে করে বেকার হয়ে দুর্বিষহ দিন পার করছেন হাজারও শ্রমিক। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অন্যায়ভাবে আখ মাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়। সুগার মিলে চিনি মজুদ থাকা সত্ত্বও ভারত থেকে চিনি আমদানি করেছে তৎকালীন সরকারের প্রভাশালী লুটেরা প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। আওয়ামী লীগ সরকার কৌশলে রাইস মিলকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়ে মিলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে উত্তরের এ জেলার একমাত্র ভারী শিল্প সুগার মিলে আখ মাড়াই কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছি। 

এ সময় সুগার মিল চালুর দাবি মেনে না নেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এসকে দোয়েল/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *