মেয়েকে বলেছিলেন ‘কলকাতা নিরাপদ’, এখন কী বলবেন মীর

মেয়েকে বলেছিলেন ‘কলকাতা নিরাপদ’, এখন কী বলবেন মীর

পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। এরপর এটি মমতার পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। ‘দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ’ প্ল্যাকার্ডে এমন স্লোগান লিখে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। এরপর এটি মমতার পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। ‘দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ’ প্ল্যাকার্ডে এমন স্লোগান লিখে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

এদিকে আরজি কর কাণ্ডের পর বারবার বিচার চেয়ে সরব হয়েছেন অভিনেতা মীর। সম্প্রতি কলকাতা মেডিকেল কলেজের গণ কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। 

মীর জানান তার মেয়ে গ্র্যাজুয়েশন করতে দিল্লি গেছেন। মেয়ে যখন প্রথম সেখানে যায় বারবার বোঝাতেন যে শহরটা দিল্লি, কলকাতার মতো মেয়েদের জন্য এতো নিরাপদ নয়। কিন্তু এবার আরজি কর কাণ্ডের পর তাকে রীতিমত মেয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

মীর সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমার কন্যা, আজ থেকে ৩ বছর আগে যখন গ্র্যাজুয়েশনের পড়াশোনা শুরু করতে দিল্লি গিয়েছিল, আমরা বারবার ওকে সাবধান করেছিলাম যে ওখানে কিন্তু যখন তখন সিনেমা দেখতে চলে যাবে না। শহরটা কিন্তু দিল্লি, কলকাতা নয়। যার তার সঙ্গে ঘুরতে চলে যাবে না। শহরটা কিন্তু দিল্লি, কলকাতা নয়। যেখানে সেখানে আড্ডা মারতে মারতে দেরি করবে না, শহরটা কিন্তু দিল্লি, কলকাতা নয়। আমাকে এবার আমার মেয়ে প্রশ্ন করেছে, তুমি এবার কী বলবে? আমি কোনও উত্তর দিতে পারিনি। 

তিনি বলেন, অনেকে এই আন্দোলনকে হুজুগ বলে মনে করেছেন বা ছোট করছেন। আমার বেশ কিছু শিল্পী বন্ধু যারা সিনেমা টেলিভিশনে কাজ করেন, তাদের থেকে সাধারণ মানুষ জবাব চাইছেন, কিন্তু তারা নীরব। জবাব দিতে পারছে না। কারণ দুর্ভাগ্যবশত তাদের টিকি অন্য কোথাও বাধা। আর সেই টিকির জোর আছে। কিন্তু জনগণ কেন তাদের প্রতি এই জনরোষ দেখাচ্ছেন সেটা তারা বুঝতে পারছেন না। 

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনের অনেকটা ইতিবাচক দিক আছে। যাদের কোনও মেরুদণ্ড ছিল না, অবশেষে তাদের সেই মেরুদণ্ড দেখা হচ্ছে। আবার যাদের মেরুদণ্ড আছে বলে বিশ্বাস করতাম তাদের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *