বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘদিন পানিবন্দি হয়ে আছেন দুই গর্ভবতী। উপায় না পেয়ে ফোন দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। খবর পেয়ে দ্রুত ওই দুই নারীকে উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারপর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘদিন পানিবন্দি হয়ে আছেন দুই গর্ভবতী। উপায় না পেয়ে ফোন দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। খবর পেয়ে দ্রুত ওই দুই নারীকে উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারপর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন।
দুই গর্ভবতী নারী হলেন—কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের মো. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা আক্তার ও সেনবাগ উপজেলার ফারজানা আক্তার।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন বলেন, সাজেদা আক্তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় নোয়াখালী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অন্যদিকে, ফারজানা আক্তার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বন্যার শুরু থেকে উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে নোয়াখালীর বানভাসি মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনো খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
হাসিব আল আমিন/এএমকে