ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ!

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ!

ঢাকা টেস্টের মাত্র দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। এরই মধ্যে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কেউ হাল ধরতে না পারলে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই।

ঢাকা টেস্টের মাত্র দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। এরই মধ্যে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কেউ হাল ধরতে না পারলে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই।

প্রথম ইনিংসে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর প্রোটিয়াদের বড় লিডে চাপা পড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। ইনিংস হার এড়াতে ২০২ রান করতে হবে তাদের। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু পেল না টাইগার ব্যাটাররা। এরই মধ্যে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার সাজঘরে ফিরে গেছেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৯ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। এখনো পিছিয়ে আছে ১৪৩ রানে। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে আছেন মুশফিকুর রহিম। 

গতকাল (সোমবার) মিরপুর শেরে বাংলায় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে কাইল ভেরেইনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০৮ রানে থামে প্রোটিয়া বাহিনী। তাদের লিড দাঁড়ায় ২০২। 

মিরপুরের কন্ডিশন বিবেচনায় লিডটা পাহাড়সমই। এই টেস্ট বাঁচাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। যদিও শুরুটা হয় চিরাচরিত ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দলীয় মাত্র ৪ রানের মাথায় দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই সাদমান ইসলামকে আউট করেন কাগিসো রাবাদা। কিছুটা বাড়তি বাউন্সের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন টাইগার এই ওপেনার। ব্যাট-প্যাড হয়ে বল চলে যায় শর্ট লেগে দাঁড়ানো টনি ডি জর্জির হাতে। ৭ বলে ১ রান করেন সাদমান।

একই ওভারে মুমিনুল হকের উইকেটটাও উপড়ে ফেলেন রাবাদা। জায়গায় দাঁড়িয়ে ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো উইয়ান মুল্ডারের হাতে। ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতেই পারলেন না মুমিনুল। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টাইগার এই ব্যাটার কতটা নড়বড়ে একটা পরিসংখ্যানে দেখা যাক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ ৯ ইনিংসে মাত্র ৩২ রান করতে পেরেছেন মুমিনুল। ভুলে যাওয়ার মতোই পারফরম্যান্স।

মাত্র ৪ রানে দুই ব্যাটারকে হারানোর পর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯৮ বলে ৫৫ রান। এখন পর্যন্ত চলমান টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত।

কেশভ মহারাজের করা আউটসাইড অফ স্টাম্পের বলটা ঠিকঠাক খেলতে পারেননি শান্ত। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল গিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ারের জন্য কাজটা কঠিন ছিল না। এলবিডব্লিউ হয়ে ২৩ রান করে বিদায় নেন টাইগার কাপ্তান।

এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *