বিয়ের জন্য সিরিজের মাঝপথেই দেশে ফিরছেন ইংলিশ পেসার

বিয়ের জন্য সিরিজের মাঝপথেই দেশে ফিরছেন ইংলিশ পেসার

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলছে ইংল্যান্ড। মুলতানে চলমান সেই টেস্টের একাদশে নেই ওলি স্টোন। এরই মাঝে তার বিয়ের সানাই বাজতে শুরু করেছে। যে কারণে সিরিজের মাঝপথেই তিনি ইংল্যান্ডে ফিরছেন। চলতি সপ্তাহে বিয়ে সেরেই আবার দ্বিতীয় টেস্টের (১৫ অক্টোবর) আগে দলে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে স্টোনের।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলছে ইংল্যান্ড। মুলতানে চলমান সেই টেস্টের একাদশে নেই ওলি স্টোন। এরই মাঝে তার বিয়ের সানাই বাজতে শুরু করেছে। যে কারণে সিরিজের মাঝপথেই তিনি ইংল্যান্ডে ফিরছেন। চলতি সপ্তাহে বিয়ে সেরেই আবার দ্বিতীয় টেস্টের (১৫ অক্টোবর) আগে দলে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে স্টোনের।

৫ বছর আগে আন্তর্জাতিক টেস্টে অভিষেক হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৫টি টেস্ট খেলেছেন ৩০ বছর বয়সী এই পেসার। এর মধ্যে চলতি গ্রীষ্মেই তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেছেন। তিন বছর পর ফরম্যাটটিতে ফিরে ম্যাচ দুটিতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এদিকে, প্রথম টেস্টের একাদশে না থাকায় বিয়ের জন্য দেশে ফিরছেন স্টোন, শনিবার শুভকাজ সম্পন্নের কথা রয়েছে।

এদিকে, আগে থেকেই নাকি ১২ অক্টোবর বাগদত্তা জেসের সঙ্গে বিয়ের সময় নির্ধারিত ছিল স্টোনের। ফলে বিয়ের জন্যই তিনি প্রথম টেস্টের একাদশে নেই কি না সেই প্রশ্নও জাগতে পারে। তবে তার জায়গায় একাদশে প্রথম পছন্দ হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতানে খেলছেন আরেক তরুণ পেসার ব্রাইডন কার্স। ইস্ট অব ইংল্যান্ডের নরফোকে বিয়ের আয়োজনের সব প্রস্তুতি আগেই শেষ হয়েছে। তার পরিকল্পনা ছিল মুলতান টেস্টে খেললে ম্যাচ শেষ (পঞ্চম দিন ১১ অক্টোবর) হতেই বাড়ির পথ ধরবেন। তবে একাদশে না থাকায় আর সেই জটিলতা ছাড়াই আগেভাগে বিয়ের জন্য ছুটছেন স্টোন।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে বিবিসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উভয়কুল রক্ষার এই পরিস্থিতিকে স্টোন মূল্যায়ন করেছেন এভাবে, ‘ব্যাপারটা কিছুটা পাগলাটে। তবে দারুণ সমস্যাও।’ স্টোন তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকা জেসকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে। হবু স্ত্রী বিষয়টি কিভাবে দেখছেন সেটিও জানান স্টোন, ‘আমাকে যখন শ্রীলঙ্কা সিরিজের ইংল্যান্ড স্কোয়াডে ডাকা হলো, জেস আর আমি ভাবছিলাম পাকিস্তান সিরিজেও দলে রাখলে কী হবে! জেস বলছিল, বিয়েটা সে পেছাতে রাজি আছে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে দেখি, সব ঠিকঠাক রেখে এগোনো যায় কি না। সে আমার জন্য যে ছাড়টা দিয়েছে, আমি অন্তত চেষ্টা করে দেখি।’

স্টোন-জেসের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কী–কেও জানিয়েছিলেন। তারা সম্মতি দেওয়ায় আর স্টোনকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। এর আগে ১৯৮৪ সালে একবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য আরেক ইংলিশ পেসার টনি পিগট নিজের বিয়ে স্থগিত করেছিলেন। এ ছাড়া বর্তমানে ইংল্যান্ডের সেরা টেস্ট ব্যাটার জো রুটও নাকি একইভাবে বিয়ে পিছিয়েছিলেন তিন দফায়। তিনি জানান, ভিন্ন ভিন্ন সফরের জন্য আমি ও ক্যারিকে (স্ত্রী) তিনবার বিয়ে পেছাতে হয়েছিল।

একইসঙ্গে স্টোনের বিয়ের জন্যও শুভকামনা জানিয়েছেন রুট, ‘যে কারও জীবনে এটি কোনো বিশেষ মুহূর্ত। আমি তার এই নতুন জীবনের জন্য রোমাঞ্চিত। আমি নিশ্চিত নিজের পরিকল্পনা সফল করতে সেই যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, কারণ তার ও হবু স্ত্রীর কাছে এই মুহূর্তটা অন্যরকম। তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে। আমরাও তার এই মুহূর্ত উদযাপন করব।’

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *