বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বাণিজ্যে বড় ঘাটতি রয়েছে। দুই দেশের আমদানি-রপ্তনির এ ঘাটতি কামানোর আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বাণিজ্যে বড় ঘাটতি রয়েছে। দুই দেশের আমদানি-রপ্তনির এ ঘাটতি কামানোর আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, বিটুবি সভা, যৌথ বিজনেস কাউন্সিল, উভয় দেশের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সার্টিফিকেট গ্রহণ, হালাল খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, এসএমই, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার অপার বাণিজ্য সম্ভাবনার তথ্য তুলে ধরে এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা থাকলেও আমদানি রপ্তনিতে বেশ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে মাত্র ১০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যেখানে পাকিস্তান হতে আমদানি ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের পাট ও পাটজাতপণ্যসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সহযোগিতা দরকার। তবে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরিতে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই সর্বদা সক্রিয় থাকবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথ বিজনেস কাউন্সিলকে আরও সক্রিয় করায় কাজ করতে হবে। এজন্য দুই দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা কার্যকর করতে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই এবং এফপিসিসিআই এর মধ্যে একটি ভার্চুয়াল সভা করার প্রস্তাব দেন হাইকমিশনার।
সভায় এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এসএম