চেন্নাইয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। এর কারণ মূলত টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতের সামনে ফলো-অন করার সুযোগ থাকলেও নিজেরা আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। এরপর তারা দিন শেষ করেছে ৩০৯ রানের লিড নিয়ে। বলা যায় এক প্রকার বড় লিডের পথেই হাঁটছে ভারতীয় দল।
চেন্নাইয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। এর কারণ মূলত টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতের সামনে ফলো-অন করার সুযোগ থাকলেও নিজেরা আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। এরপর তারা দিন শেষ করেছে ৩০৯ রানের লিড নিয়ে। বলা যায় এক প্রকার বড় লিডের পথেই হাঁটছে ভারতীয় দল।
বাংলাদেশকে ঠিক কত রানের লক্ষ্য দিতে চায় ভারত, এমন প্রশ্ন উঠেছিল রবীন্দ্র জাদেজার কাছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে আলাপকালে এই তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘প্রথমে আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে। এখান থেকে আমাদের আরও ১২০-১৫০ রানের কাছাকাছি যোগ করতে হবে। তখন আমরা ভালো একটা অবস্থায় থাকব এবং বোলিংয়ে নেমে তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করে দিতে হবে।’
ব্যাটারদের পাশাপাশি উইকেটে পেসারদের জন্যও সুবিধা রয়েছে বলে মনে করেন জাদেজা, ‘ব্যাটিং করার জন্য উইকেটটা ভালো, কিন্তু পেসারদের জন্য এখনও কিছু সুবিধা আছে। কিছু বল সিম করছে আবার কিছু বল সুইংও করছিল। ব্যাটারদের জন্য কাজটা একেবারে সহজও নয়। পেসাররা যদি সঠিক জায়গা ধরে রাখতে পারে তাহলে উইকেট থেকে সুবিধা পাবেই।’
ভারতীয় এই অভিজ্ঞ তারকার কথার প্রমাণ পাওয়া যায় কেবল দ্বিতীয় দিনের স্কোরবোর্ডে নজর রাখলে। আজ দুই দল সবমিলিয়ে ১৭টি উইকেট নিয়েছে। এর বিপরীতে গোটা দিনে দুই দলের ব্যাটাররা তুলেছেন ২৬৫ রান। সাধারণত চেন্নাইয়ের পিচ স্পিনবান্ধব হয়ে থাকলেও, এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। ১৭ উইকেটের মধ্যে ১৪টিই নিয়েছেন পেসাররা, যা ২০০৬ সালের পর এই ভেন্যুতে প্রথম।
এদিকে, জাদেজার কথামতো ভারত যদি দ্বিতীয় ইনিংসে ১২০-১৫০ রান করতে পারে, তাহলে তাদের পুরো পুঁজি দাঁড়াবে ৩৫-৪০০ রানের মতো। যা পেরোনো প্রায় অসম্ভব পর্যায়ের। এবার দেখা যাক বাংলাদেশি বোলাররা তৃতীয় দিনে উইকেট থেকে কতটা সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন। একইসঙ্গে ব্যাটারদেরও পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ, প্রথম ইনিংসে যারা মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
এসএইচ/এএইচএস