ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩৮ বছরের পুরোনো আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা ঘিরে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এই আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু হয়েছে। সবার একটাই চাওয়া, ‘বিচার চাই’। সেই চাওয়ায় শনিবার শামিল হয়েছেন ওপার বাংলার নাট্যকর্মীরা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩৮ বছরের পুরোনো আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা ঘিরে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এই আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু হয়েছে। সবার একটাই চাওয়া, ‘বিচার চাই’। সেই চাওয়ায় শনিবার শামিল হয়েছেন ওপার বাংলার নাট্যকর্মীরা।
সুজন নীল মুখোপাধ্যায়, পৌলমী বসু, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, বাদশা মৈত্র, অনির্বাণ চক্রবর্তী, দেবদূত ঘোষ, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দুই প্রজন্মের নাট্য ব্যক্তিত্বরা। গিরিশ মঞ্চ থেকে পায়ে হেঁটে সকলে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন। এই সমাবেশে যোগ দেন নাট্য অ্যাকাডেমির সভাপতি দেবশঙ্কর হালদারও।
হাসপাতাল চত্বরেই অভিনেতা বাদশা প্রশ্ন তোলেন, প্রভাবশালীরা দিনের শেষে বিলাসবহুল ঘরে আরামে ঘুমান। আর যারা আমাদের নতুন জীবন দেন সেই চিকিৎসকেরা সেমিনার হলে রাত্রি যাপন করেন! এত বৈষম্য কেন?
মাত্র ২৪ ঘণ্টা হাতে ছিল। তার মধ্যে পোস্টার বানানো, কয়েক দফা দাবি তৈরি, সকলকে জড়ো করা থেকে পদযাত্রা পরিচালনা— আয়োজন করেছেন পৌলমী, সুদীপ্তা, নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়।
সুদীপ্তা বলেন, এমরা নাট্যকর্মী। সকলে বলেন, আমাদের কাজ রং মেখে সং সাজা। তা হলে সেই কাজ ছেড়ে পথে নামতে হচ্ছে কেন? এটা তো আমাদের কাজ নয়।
সুজন নীল বলেন, তরুণী চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়ার পাশাপাশি নারী-সুরক্ষার জন্য আরও কয়েকটি দাবি আমাদের আছে। আমরা সে সব সাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে পথে নেমেছি।
নির্দিষ্ট সময়ে বাগবাজার থেকে শ্যামবাজার হয়ে হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছয় সমাবেশ। রাতের উত্তর কলকাতা মুখরিত ‘বিচার চাই’ ধ্বনিতে। গেটের সামনে যথারীতি পুলিশ বাহিনী। নিরাপত্তার জন্য এ দিন কয়েক জন মাত্র ভেতরে ঢোকার অনুমতি পান। বাইরে তখন জনগর্জন, ‘আরজি কর ধিক্কার!’
এমএসএ