ভারতের আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল পুরো পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রতিবাদের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অন্যান্য রাজ্যেও। বিশ্বগণমাধ্যমের শিরোনামেও জায়গা নিয়েছে এই ভারতের এই নৃশংস কাণ্ডের খবর।
ভারতের আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল পুরো পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রতিবাদের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অন্যান্য রাজ্যেও। বিশ্বগণমাধ্যমের শিরোনামেও জায়গা নিয়েছে এই ভারতের এই নৃশংস কাণ্ডের খবর।
এমন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে নিজের এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় অভিনেত্রী ও মডেল সেলিনা জেটলি। তার দাবি, সব সময় নির্যাতিতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
সামাজিক মাধ্যমে শৈশবের একটি ছবি পোস্ট করেন সেলিনা। সেই সময়ে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
সেখানেই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘নির্যাতিতাকেই দোষ দেওয়া হয় সব সময়। এই সময়ে আমি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। আমাদের স্কুলের বাইরে কাছেরই এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা ভিড় জমাতো। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে আমার রিকশার পিছু নিত ওরা।’
সেলিনা জানান, তিনি ভান করতেন যেন তিনি কিছুই বুঝতে পারছে না। কিছু দিন পরেই সেলিনা লক্ষ করেন, ওই ছেলেরা পাথর ছুড়তে থাকে। সেই দেখেও কোনও পথচারী প্রতিবাদ করতে আসেননি বলে জানান অভিনেত্রী। বরং এক শিক্ষক সেলিনাকেই এর জন্য দোষী মানতেন।
সেলিনা বলেন, ‘আমার শিক্ষিকা বলেছিলেন আমি পশ্চিমী কায়দার পোশাক পরি। ঢিলেঢালা পোশাক পরি না। তেল মেখে দুটো বেণী করে চুল বাঁধি না। তাই দোষটা আমারই।’ এর পরেই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানান সেলিনা। তিনি বলেন, ‘এক দিন স্কুলের রিকশার জন্য আমি অপেক্ষা করছি। তখন এক পুরুষ তার গোপনাঙ্গ আমাকে দেখিয়ে চলে যায়। ওই ছোট বয়সে এই অভিজ্ঞতা হয়। বহু বছর ধরে এই ঘটনার জন্য আমি নিজেকে দায়ী করতাম। শিক্ষকের কথা আমার মাথায় ঘুরতে থাকত।’
একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা তাকে হেনস্থা করেছিলেন বলে জানান। তখনও তাকে বলা হয়েছিল, পোশাকের জন্যই নাকি ছেলেরা তার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করে।
সূত্র : আনন্দবাজার
ডিএ