পানি কমলেও খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এখনও পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার

পানি কমলেও খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এখনও পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। অধিকাংশ নিচু এলাকার পানি সরে গেছে। তবে জেলার দীঘিনালা উপজেলায় এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে কয়েক হাজার পরিবার।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। অধিকাংশ নিচু এলাকার পানি সরে গেছে। তবে জেলার দীঘিনালা উপজেলায় এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে কয়েক হাজার পরিবার।

ছোট মেরুং এলাকার বাসিন্দা মো. হারুণ অর রশিদ বলেন, পানি কমতে শুরু করেছে। এখনও বাড়ির প্রথম ফ্লোর পানিতে তলিয়ে আছে। মেরুং বাজারের দোকানপাট এখন পানিতে তলিয়ে আছে। নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

জেলার রামগড় উপজেলার কিছু নিচু অংশে পানি জমে আছে। সড়ক ডুবে থাকায় যান চলাচল বন্ধ আছে। রামগড়ে নাকাপা এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসে পড়ায় ঢাকার সঙ্গে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

পানি কমে যাওয়ায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট পরিষ্কার করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয়রা।

খাগড়াছড়ি সবজি বাজারের দোকানদার মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, রাতের শেষ ভাগে পানি নেমে গেছে। সকাল থেকে দোকানের সব কর্মচারী মিলে পরিষ্কার করছি। দোকানের ভেতর অনেক কাদামাটি জমে আছে।

পানি কমে যাওয়ায় বেরিয়ে আসছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। এবারের বন্যায় জেলায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাগড়াছড়ি বাজারের পাইকারি বয়লার মুরগির ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান খান জানান, বন্যার কারণে তার প্রায় দশ হাজারের মতো একদিনের মুরগির বাচ্চা মারা গেছে। খাগড়াছড়িতে আনার পথে বাগানবাজার এলাকায় বন্যার পানিতে গাড়ি আটকে বাচ্চাগুলো মরে গেছে।

সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকায় এখনও খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির লংগদু এবং বাঘাইছড়ি সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। বন্ধ আছে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকার যান চলাচলও।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, নাকাপা এলাকায় পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে যেন আরেকটি পাহাড় হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় সড়কের দুই দিক থেকে মাটি সরানো হচ্ছে। মাটি সড়াতে আরও কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে।

মোহাম্মদ শাহজাহান/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *