পর্যটন খাত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ খাত দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে পর্যটন খাতে আরও বেশি নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন খাত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ খাত দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে পর্যটন খাতে আরও বেশি নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীর শেরাটনে দ্য বাংলাদেশ মনিটরের আয়োজনে ‘রোডম্যাপ ফর ট্যুরিজম রিকভারি : প্রেজেন্ট বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ডব্লিওটিএন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ গোলাম কাদের বলেন, আমাদের ট্যুরিজম সেক্টর অনেক সম্ভাবনাময়। এখানে সরকারের আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত। এই খাতে সম্মিলিতভাবে আরও বেশি পদক্ষেপ দরকার। বর্তমানে ট্যুরিজম খাতে অনেক বাধা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এগুলোর বিষয় যথাযথ পদক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে অনেক সম্ভাবনাময় হতে পারে এই খাত। অবশ্যই সেজন্য সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার।
রিসোর্ট মালিকদের পক্ষ থেকে কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যটন খাতের জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় হলে কাজগুলো করা সহজ ও সুন্দর হবে। এই খাতে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সে কারণে এখানে নজর দিলে, নানারকম উদ্যোগ নিলে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ আমরা তৈরি করতে পারব। আমাদের যে পর্যটন স্থানগুলো আছে তা আমাদের সম্পদ। পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা গেলে এ খাত আরও বেশি বেগবান হবে। একটি প্রতিবন্ধকতা হলো ভিসা পদ্ধতি সহজ নয়, এটাকে খুব সহজ করতে হবে যাতে করে সহজেই আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকরা আসতে পারে।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে এভিয়েশনের খাত খুব সম্পৃক্ত। পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করতে এভিয়েশন খাতও চেষ্টা করে যায়। এখানে একটি বড় বাধা হচ্ছে জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক রুটের চেয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য জেট ফুয়েল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রুটে জেট ফুয়েলে দাম যদি কম থাকত, তবে সেখান থেকে ট্যুরিজম খাতে যাত্রীদের আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা, ছাড় দেওয়া যেত এভিয়েশন খাতের পক্ষ থেকে। তাই সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়টি বিবেচনা করলে অভ্যন্তরীণ রুটে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আরও আকৃষ্ট হবে।
ট্যুরিজম খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধি তৌফিক ওমর বলেন, এই ট্যুরিজম খাত দিয়ে বহির্বিশ্বে আমাদের ইমেজ আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। এটা অনেক সম্ভাবনাময় খাত, অনেকগুলো বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। এখানে কর্মসংস্থানের অনেক বড় সুযোগ রয়েছে। এগুলো যদি আমরা প্রোপারলি ব্যবহার করতে পারি, আমাদের ট্যুরিজম খাত থেকে অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব। এজন্য দরকার শুধু সম্মিলিত উদ্যোগ।
সেমিনারে অংশ নিয়ে প্যাসিফিক এশিয়া ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পিটার এ সিমন বলেন, বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাত অনেক সম্ভাবনাময়। এটাকে আরও বেশি বিস্তার করতে সরকারি, বেসরকারি সবার প্রচেষ্টা, উদ্যোগ গ্রহণ খুবই জরুরি।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম।
এএসএস/এসএসএইচ