১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ

১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশির সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা ওপেনিং। লম্বা সময় ধরে চেষ্টা আর একাধিক পরিবর্তনেও সেই সমস্যার সমাধান সম্ভন হয়নি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ দুই ওপেনার। একই দিনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে মিডল অর্ডারও। তাতে ১৩০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশির সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা ওপেনিং। লম্বা সময় ধরে চেষ্টা আর একাধিক পরিবর্তনেও সেই সমস্যার সমাধান সম্ভন হয়নি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ দুই ওপেনার। একই দিনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে মিডল অর্ডারও। তাতে ১৩০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ।

গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করেছে বাংলাদেশ।

আরো একবার ইনিংসের শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসে নিজের খেলা প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে পরের বলেই রীতিমতো আত্মহত্যা করলেন এই ওপেনার! অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের ফুল লেংথের বল টেনে স্লগ সুইপ করেন লিটন। বল উঠে যায় সোজা উপরে। রিঙ্কু সিং নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। ২ বলে ৪ রানেই থেমেছেন লিটন।

আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। তবে দ্বিতীয় ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকে ছক্কা মেরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরের ওভারেই আর্শদীপ সিংকে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবার বল করতে আসেন মায়াঙ্ক যাদব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ওভারটি মেইডেন পেয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তুলে বাংলাদেশ।

আগের ওভারের সবগুলো বল ডট খেলে তাওহিদ হৃদয় পরের ওভারে ফিরেছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। বরুণ চক্রবর্তীর খাটো লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ১৮ বল খেলে ১২ রান করেছেন তিনি।

৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে দল তখন উইকেটে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সুবিধা করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটারও। উল্টো উইকেট বিলিয়ে দলের বিপদ বাড়িয়েছেন তিনি। মায়াঙ্ক যাদবকে এগিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি জাকের আলি অনিকও। ৬ বল খেলে ৮ রানে ফিরেছেন তিনি। তাতে ৫৭ রানের মধ্যেই প্রথম সারির ৫ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ।

দলের বিপর্যয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মিরাজকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। তবে ২৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ১২তম ওভারের শেষ বলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

আটে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন রিশাদ হোসেন। নিজের খেলা প্রথম বলেই ছক্কা মারেন তিনি। দুই বলে ১০ রান করা রিশাদও বেশি দূর যেতে পারেননি। কাউন্টার অ্যাটাক করতে গিয়ে ৫ বলে ১১ রানে থেমেছেন রিশাদ।

এরপর তাসকিন ও মিরাজ মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ২৩ রান। তাসকিন ১২ রান করে রান আউটের শিকার হন। এরপর শরিফুল-মুস্তাফিজ দ্রুত ফিরলে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেছেন মিরাজ। তিনি ৩২ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেছেন।

এইচজেএস 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *