চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ত্রাণবাহী একটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ত্রাণবাহী একটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমাদ পলাশ ও সাদমান হায়দার। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিক সরকার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফাহিম আহমাদ পলাশের পা ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষত হয়েছে। এ ছাড়া আঘাতের ফলে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী সাদমান হায়দারেরও পা ভেঙে গেছে। দুইজনই ট্রাকের সামনের সিটে বসা ছিলেন। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিভাগ থেকে নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় নোয়াখালীর সেনবাগের উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় পৌঁছালে ট্রাকচালকের অসাবধানতায় সড়কের আরেকটি গাড়ির সঙ্গে ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের সামনের অংশটি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে।
শিক্ষার্থী মো. আশিক সরকার ঢাকা পোস্টকে আরও বলেন, আমরা গত তিন দিন যাবৎ বন্যাকবলিত মানুষের সাহায্য করার লক্ষ্যে বিভাগ থেকে টাকা ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করি। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিলাম কিন্তু মিরসরাই এলাকায় আমরা দুর্ঘটনার শিকার হই। এ সময় আমাদের ১২ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক চন্দন কুমার পোদ্দারের নিকট এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আতিকুর রহমান/এএমকে