তিন দিনে বরিশালের চার থানায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা

তিন দিনে বরিশালের চার থানায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা

সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বরিশালের থানাগুলোতে অস্ত্র জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। তিন দিনে মেট্রোপলিটন এলাকার চারটি থানায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে। একইসঙ্গে জেলার ১০টি থানায়ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অস্ত্র জমা পড়েছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বরিশালের থানাগুলোতে অস্ত্র জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। তিন দিনে মেট্রোপলিটন এলাকার চারটি থানায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে। একইসঙ্গে জেলার ১০টি থানায়ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অস্ত্র জমা পড়েছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই লাইসেন্সধারী অস্ত্র মালিকরা অস্ত্র জমা দিচ্ছেন। আজকে তিনটি জমা পড়েছে। এ নিয়ে তিন দিনে মোট ৩৯টি জমা হয়েছে। এখনো সামনে দুই দিন আছে। আশা করছি সকলেই অস্ত্র জমা দিয়ে যাবেন।

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, আমার থানা এলাকায় মোট ১৪ জনের অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন তাদের অস্ত্র জমা দিয়ে গেছেন। আগামী দুই দিনে বাকিরাও দেবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যারা অস্ত্র জমা দিচ্ছেন তাদের আমরা জমাদানের একটি রশিদ দিচ্ছি।

কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমাদের থানায় এখন পর্যন্ত চারটি অস্ত্র জমা দিয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা অস্ত্রগুলো গ্রহণ করছি।

বরিশাল বন্দর থানা পুলিশের ওসি বিপ্লব মিস্ত্রী বলেন, বন্দর থানায় দুজন অস্ত্র জমা দিয়েছেন। আরও যারা আছেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে জেলার ১০টি থানায় অস্ত্র জমা হচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি থানায় অস্ত্র জমা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কতগুলো জমা পড়েছে তার হিসাব সম্পন্ন করা হয়নি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সবগুলো থানায় জমা হওয়া অস্ত্রের হিসাব জানানো হবে।

জানা গেছে, বরিশাল জেলা ও মহানগর এলাকায় মোট অস্ত্রের লাইসেন্সধারীর সংখ্যা ৬৬৯ জন। এর মধ্যে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ে ১৯৬টি লাইসেন্স দেয় সরকার। যার মধ্যে রয়েছে পিস্তল, রিভলভার, শটগান, একনলা ও দোনলা রাইফেল।

প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন সরকার গঠিত হলে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেওয়া লাইসেন্স বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলোকে থানায় জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। জমা না দেওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *