ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসির) প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রকৌশলীরা। বিক্ষুব্ধরা সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে প্রধান প্রকৌশলীকে অপসারণ করার অনুরোধও জানিয়েছেন। তা না হলে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন তারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসির) প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রকৌশলীরা। বিক্ষুব্ধরা সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে প্রধান প্রকৌশলীকে অপসারণ করার অনুরোধও জানিয়েছেন। তা না হলে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন তারা।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আশিকুর রহমানকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগর ভবন প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতার কাছ থেকে শুরু করে সকল সেবা বন্ধ করে দেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, তার অতীত এবং বর্তমানের সব অপকর্ম আড়াল করতে সবসময় তিনি চেষ্টা চালিয়ে যান। এতদিন ধরে অধীনস্থ প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অযাচিত হয়রানি করতেন এবং নানাভাবে চাপে রাখতেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে এবং মেয়র তাপসকে ম্যানেজ করে অস্বাভাবিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান। ডিএসসিসিতে একক ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার করেছেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রে প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ওপর মেয়রের ক্ষমতা তিনি নিজে প্রয়োগ করেন। তিনি ২০২৩ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কৌশলে পদোন্নতি নিয়েছেন।
ইতোমধ্যে নগর ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে সচেতন নাগরিকের ব্যানারে পোস্টারও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরের দরজায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘প্রবেশ নিষেধ’ সম্বলিত পোস্টার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান কার্যালয়ে আসছেন না। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলেও তার ফোন বন্ধ থাকায়, তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
এএসএস/এমএসএ