ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার বিষয়ে তদন্তের জন্য আগামী সপ্তাহে কয়েকজন জাতিসংঘ কারিগরি সহযোগী ঢাকায় আসবে। তারা প্রাথমিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের কাজটি করবে।
ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার বিষয়ে তদন্তের জন্য আগামী সপ্তাহে কয়েকজন জাতিসংঘ কারিগরি সহযোগী ঢাকায় আসবে। তারা প্রাথমিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের কাজটি করবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস।
আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন নিয়ে খুব সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার টুর্কের মধ্যে গতকাল আলোচনা হয়েছে এবং তারা জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করবে এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কয়েকজন জাতিসংঘ কারিগরি সহযোগী আগামী সপ্তাহে এসে পৌঁছাবে এবং তারা প্রাথমিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের কাজটি করবে। তবে কী কাজ করবে এবং কাজের পরিধি কী হবে সেটি নিয়ে দুইপক্ষকে সম্মত হতে হবে।
গোয়েন লুইস বলেন, তারা বাংলাদেশে আসার জন্য টিকিট কেটে ফেলেছে এবং আগামী সপ্তাহে আসবে। তারা প্রাথমিকভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের কাজটি করবে। তাদের কাজের পরিধি, টার্মস অব রেফারেন্স, কত সময় কাজ করবে সেটি নিয়ে এখনো কাজ চলছে। কিন্তু আমরা কাজ করতে তৈরি আছি।
কারিগরি দলের টার্মস অব রেফারেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি এখনো প্রস্তুত হয়নি এবং এটি নিয়ে কাজ চলছে। এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশের সরকার কী চায় এবং কী ধরনের টেকনিক্যাল সহায়তার প্রয়োজন হবে। কাজেই জটিল কিছু বিষয় এখানে রয়েছে। এটি আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে হবে এবং এটি খুব দ্রুত হবে। তারপরে সিনিয়র যে দলটি আসবে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
গোয়েন লুইস বলেন, তারা জেনেভা থেকে আসবে। বাংলাদেশে যারা রয়েছে তারা এক্সটার্নাল দল হিসাবে কাজ করবে। যখন সরকারের সঙ্গে তার কাজ করা কাঠামোর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে, তখন বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে এসে কাজে নেতৃত্ব দেবেন। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, সামনের দিনগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে অগ্রাধিকারগুলো নির্ধারণ করবে সেটিতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আমরা সম্মত হয়েছি। আমরা যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছি সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়কে মানবাধিকার সম্প্রসারণে সহায়তা করা এবং তদন্ত কাজে সহায়তা করা যেটিতে ড. ইউনুস গত সন্ধ্যায় একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অর্থনীতি একটি অগ্রাধিকার বিষয়ে এবং এক্ষেত্রে জাতিসংঘ কীভাবে সহায়তা করতে পারে সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়া রোহিঙ্গা, বন্যা সহায়তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এনআই/এসকেডি