ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এ ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে পুরো দেশ; সেখানকার নারীরা রাজপথে নেমেছেন বিচারের দাবিতে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এ ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে পুরো দেশ; সেখানকার নারীরা রাজপথে নেমেছেন বিচারের দাবিতে।
এ ঘটনায় সরব রয়েছেন টালিউড-বলিউডের তারকারাও। অপরাধীদের শাস্তিসহ ভারতে মেয়েদের নিরাপত্তা চেয়ে বিভিন্ন ভাষায় মুখ খুলেছেন তারা। কেউ কেউ গর্জে উঠেছেন রাজপথেও।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বক্স অফিসে বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে বেশ কিছু ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। সেই বাংলা ছবিগুলোর একটি চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ও সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সমসাময়িক পরিস্থিতিতে নিজের ছবি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেনই না পরিচালক সৃজিত। তার কথায়, রাজ্যের যেমন পরিস্থিতি, তাতে মানুষ ছবি না দেখলেও আমার আপত্তি নেই। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইলেন, নিজের ছবির চেয়ে আন্দোলনে তার অবস্থান নেওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সৃজিত বলেন, ‘আমার মনে হয়, শহর এই মুহূর্তে কোনও রকম বিনোদন বা সিনেমা দেখার মানসিকতায় নেই। আমি তো নেই-ই।’
ছবির ভবিষ্যৎও তিনি দর্শকের উপরেই ছেড়ে দিতে চাইছেন। বললেন, ‘দর্শক যা চাইবেন, সেটাই হবে। এই পরিস্থিতিতে তারা যদি আমার ছবি না-ও দেখেন, আমার কোনও আপত্তি নেই।’
বলা যায়, ‘পদাতিক’ ছবি মুক্তি পাচ্ছে বেশ কিছু ঝড়ঝাপটা নিয়েই। ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিচালক সৃজিত চিন্তিত কি না তা নিয়েও কথা বলেছেন। বললেন, ‘আমি ছবির মুক্তি পিছনো নিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তিনি অত্যন্ত অসহায় ভাবেই আমাকে জানিয়েছেন, তার বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে। কারণ, ছবিটা জাতীয় স্তরে মুক্তি পাচ্ছে। তাই কিছু করা গেল না।’
উল্লেখ্য, সৃজিতের ছবিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। কিন্তু দেশে আন্দোলনের জেরে কলকাতায় ছবির প্রচারে যেতে পারেনি চঞ্চল।
সৃজিত বললেন, ‘সবটাই দুর্ভাগ্যজনক। ছবিটা এই সময়ে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু, এটা আমাদের কারও হাতেই নেই।’
ডিএ