চবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

চবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

টানা আন্দোলনের পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

টানা আন্দোলনের পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, জিরো পয়েন্ট ও ২ নম্বর গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেয়ামত উল্যাহ ফারাবি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম হলো প্রধান দুটি স্তম্ভ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রযেছে। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু আমরা দেখেছি উপাচার্য না থাকলেও বিনা বাধায় বিভিন্ন আর্থিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন কমকর্তা ও কর্মচারীদের বদলিও এই বন্ধ ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা পড়ার টেবিলে ও ক্লাসরুমে থাকার কথা। কিন্তু এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে যে আমরা পড়াশোনা রেখে রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যারা কূটকৌশল অবলম্বন করছেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। জাতির কাছে তাদেরকে জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি ফ্যাসিস্টের কোনো দোসরকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীরা সেটা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

ফারাবি আরও বলেন, উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করছি আমরা। এখন থেকে প্রশাসনিক ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দুই ফটক বন্ধ থাকবে। উপাচার্য নিজে এসে তালা খুলে ক্যাম্পাসে ঢুকবেন। এভাবে আর চলতে দেব না আমরা।

এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে একই দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে সারাদিনেও কোনো ফলাফল না আসায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর গুঞ্জন ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। শিক্ষা উপদেষ্টা মুঠোফোনে তাকে এ কথা জানিয়েছেন বলে অধ্যাপক  ইয়াহ্ইয়া নিশ্চিত করেন। কিন্তু এর মধ্যে কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে।

আতিকুর রহমান/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *