গাইবান্ধা হিসাবরক্ষণ অফিসে টাকা ছাড়া কাজ হয় না

গাইবান্ধা হিসাবরক্ষণ অফিসে টাকা ছাড়া কাজ হয় না

গাইবান্ধা হিসাবরক্ষণ অফিসে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত সাকিউল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, জমি অধিগ্রহণের চেক ছাড় করার জন্য একাধিক সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন সাকিউল ইসলাম। 

গাইবান্ধা হিসাবরক্ষণ অফিসে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত সাকিউল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, জমি অধিগ্রহণের চেক ছাড় করার জন্য একাধিক সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন সাকিউল ইসলাম। 

সম্প্রতি, তার টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি জনসাধারণের নজরে আসে। তবে অভিযুক্ত সাকিউল ইসলাম চা খাওয়ার জন্য দু-একশ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মসিহাজ্জামান।

ভিডিওতে দেখা যায়, সাকিউল ইসলাম সুবিধাভোগীর কাছ থেকে নগদ অর্থ গ্রহণ করছেন। পরে তা হিসাব করে প্যান্টের পকেটে রাখছেন। ভিডিওটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। 

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুজরুক বোয়ালিয়া গ্রামের মিলন নন্দী নামে এক ভুক্তভোগী জানান, এই অফিসে যেকোনো কাজ করতে গেলে টাকা লাগবেই। আমি জমি অধিগ্রহণের চেক ছাড় করার জন্য বেশ কয়েকদিন এই অফিসে ঘুরেছি। শেষ পর্যন্ত এই অফিসের সাকিউল ইসলামকে টাকা দিয়ে চেক ছাড় করে নিয়েছি।

হিসাবরক্ষণ অফিসে আসা বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, এই অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। যেকোনো ধরনের চেক ছাড় করার প্রক্রিয়ায় তাদেরকে ঘুষ দিতে হয়। যদি কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তার কাজ আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঘুষ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত সাকিউল ইসলাম জানান, আমি কোনো ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত নই। কেউ কেউ আমাকে চা খাওয়ার জন্য দু-একশ টাকা দিয়ে থাকে।

গাইবান্ধা জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মসিহাজ্জামান বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, অফিসের কোনো কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।

রিপন আকন্দ/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *