এআই ফিচার নিয়ে বাজারে আসছে আইফোন এসই

এআই ফিচার নিয়ে বাজারে আসছে আইফোন এসই

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির জয়জয়কার। তবে এআই নির্ভর বিভিন্ন টুল তৈরিতে বেশ পিছিয়ে রয়েছে আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। 

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির জয়জয়কার। তবে এআই নির্ভর বিভিন্ন টুল তৈরিতে বেশ পিছিয়ে রয়েছে আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। 

আর তাই এবার নিজেদের আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এআই ভিত্তিক নতুন একাধিক সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তারই ধারাবাহিকতায় আইফোন ১৬ -এর সব মডেলে এআই সক্ষমতা থাকবে বলেই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাজারে আসতে পারে আইফোন ১৬। 

সম্প্রতি ব্লমবার্গের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রযুক্তি ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে বলেন, অ্যাপেলের পুরোনো ফোন আইফোন এসই এআই ফিচারসহ ২০২৫ এর শুরুর দিকে বাজারে আসতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ফোনের দাম ৫০০ মার্কিন ডলারের কম রাখা হলে এটি বেশ ব্যবসা সফল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যান্য মিডরেঞ্জের স্মার্টফোনকে টেক্কা দিতে পারবে আইফোন এসই। তবে এখনো দামের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

নতুন সাশ্রয়ী আইফোন এসই-তে এআই ফিচারগুলো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উন্নতি আনতে পারে। এখানে কিছু সম্ভাব্য এআই ফিচারের বিবরণ দেওয়া হলো:

ক্যামেরা উন্নতি: এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যামেরা ছবির গুণগত মান উন্নত করতে পারে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৃশ্যের ধরন চিনতে পারে এবং সেটির জন্য সঠিক সেটিংস নির্বাচন করতে পারে, যেমন পোর্ট্রেট মোডে বুকে ইফেক্ট বা রাতে ছবি তোলার জন্য নাইট মোড।

ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট: সিরি বা অন্যান্য ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের কার্যকারিতা আরও উন্নত হতে পারে। এআই ব্যবহার করে এটি ব্যবহারকারীর অভ্যাস এবং পছন্দ অনুযায়ী আরও স্মার্ট এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে সক্ষম হবে।

পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন: এআই প্রযুক্তি ডিভাইসের পারফরম্যান্স উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন ব্যাটারি ব্যবহারের উন্নতি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে স্মার্ট মেমরি ব্যবস্থাপনা।

সিকিউরিটি ফিচার: ফেস আইডি বা টাচ আইডির মাধ্যমে নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে, যেখানে এআই ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর মুখ বা আঙ্গুলের ছাপের বৈশিষ্ট্যগুলি আরও সঠিকভাবে শনাক্ত করা হবে।

ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা: এআই ব্যবহার করে ডিভাইসটি ব্যবহারকারীর আচরণ এবং পছন্দগুলি শিখতে পারে, যা ব্যবহারকারীর জন্য আরও ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা তৈরি করতে সহায়ক হবে।

এই ফিচারগুলো যদি নতুন আইফোন এসই-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং কার্যকরী ডিভাইস হতে পারে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *