বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ এম এ আরিফ বলেছেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে আমরা হটিয়েছি। আপনারাও কেউ ওই স্বৈরাচারের মতো আচরণ করবেন না। কারণ এ বিপ্লব, নতুন স্বাধীনতা কারো একার জন্য আসেনি। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। আর কোনো ফ্যাসিস্ট যেন ক্ষমতার মসনদে বসতে না পারে। আর কোনো ভাই ও মা যেন নির্যাতনের শিকার না হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ এম এ আরিফ বলেছেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে আমরা হটিয়েছি। আপনারাও কেউ ওই স্বৈরাচারের মতো আচরণ করবেন না। কারণ এ বিপ্লব, নতুন স্বাধীনতা কারো একার জন্য আসেনি। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। আর কোনো ফ্যাসিস্ট যেন ক্ষমতার মসনদে বসতে না পারে। আর কোনো ভাই ও মা যেন নির্যাতনের শিকার না হয়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। ফ্যাসিজমের মূলোৎপাটন, রাষ্ট্র সংস্কার, খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
প্রশাসনের উদ্দেশে আরিফ বলেন, আন্দোলনে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছেন। আমাদের রিমান্ডে নিয়েছেন। এখন যে খুনিরা আপনাদের আশপাশে ঘুরছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করতে পারছেন না। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের যদি গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে আমাদের কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আহমেদ ইসমাইল বন্ধন, ফরিদ উদ্দিন, সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহিম আসাদ, সরোয়ার হোসেন, মেহেদী হাসান আয়ান ও আব্দুল হামিদ ফারাবি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চার শিক্ষার্থী মারা গেছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন শতাধিক ছাত্র-জনতা। ঘটনার প্রায় দুই মাস পার হতে যাচ্ছে, কিন্তু ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো সেই সালাহউদ্দিন টিপুসহ খুনিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। আগামী সাত দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির দেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/কেএ