কুসুম শিকদারের বয়স কত?

কুসুম শিকদারের বয়স কত?

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার। নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও সমান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে বেশ লম্বা সময় ধরেই যুক্ত আছেন শোবিজের সঙ্গে।

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার। নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও সমান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে বেশ লম্বা সময় ধরেই যুক্ত আছেন শোবিজের সঙ্গে।

একটা সময় অনেক খ্যাতি, প্রশংসা কুড়ালেও অনেকদিনই দর্শকের চোখের আড়াল হন কুসুম। দীর্ঘ বিরতির পর এবার নতুন এক পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ তার। এখন কুসুম একজন নির্মাতা! গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তার নিজের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘শরতের জবা’।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে বর্তমানে আলোচনায় রয়েছেন কুসুম শিকদার। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলাপ করেন কুসুম। 

নির্মাতা হিসেবে কাজের চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতা জানিয়েও কুসুম বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না কীভাবে এত কাজ করলাম। এত বড় চ্যালেঞ্জ, আমি যদি আগে বুঝতাম, ভয় পেয়ে যেতাম। যেহেতু শুরু করেছি, সেহেতু মাঝ রাস্তায় বন্ধ করতে পারব না। আমার একটাই রাস্তা, আমাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।’ 

তবে অনুরাগীদের কাছে তিনি সেই আগের কুসুম হয়েই আছেন। বলা যায়, বয়সের ছাপ একেবারে নেই বললেই চলে এই অভিনেত্রী। এদিকে নিজের বয়সটাও লুকাননা তিনি।

এ প্রসঙ্গে কুসুম বলেন, ‘আমি নিজেকে কখনোই নায়িকা, সেলিব্রিটি বা পাবলিক ফিগার হিসেবে দেখি না। কাজের জন্য হয়ত পাঁচজন মানুষ আমাকে চেনেন। কোনো স্টারডম নিয়ে থাকতে হবে, কোনো এটিটিউড নিয়ে থাকতে হবে, এগুলো আমি বিশ্বাসই করি না।’

এরপর অভিনেত্রী বলেন, ‘এ কারণে আমি বয়স লুকাই না; আমার বয়স কত, তা ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে দেই। সঙ্গে আরও একটি বিষয়ও বলি, আমার মনের বয়স কত। আসলে আমার মনের বয়স কখনোই ১৮ এর বেশি না; এই মুহূর্তেও আমার মনের বয়স ১৮।’

অবশ্য পরে সরাসরি নিজের বয়সটিও জানান কুসুম। বলেন, ‘আমার জন্ম ৮১ সালে (১৯৮১)। আমার পাসপোর্টে বা সার্টিফিকেটে আছে ৮৩। এখন আমার বয়স ৪৩ এর বেশি।’

২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কুসুমের লেখা ‘শরতের জবা’। এক নারীর রহস্যময় জীবন নিয়ে গল্পটি। অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন একেক সময় একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। সেই ভৌতিক ঘরানার গল্পই এবার বড় পর্দায় আনলেন কুসুম।

২০০২ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর একের পর এক নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন কুসুম শিকদার। এরপর অভিনয় করেন তিনটি সিনেমায়—‘লাল টিপ’, ‘গহীনে শব্দ’ ও ‘শঙ্খচিল’। শেষ সিনেমার জন্য ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান এই অভিনেত্রী।

ডিএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *