দেশের সব আদালত থেকে আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট দোসর বিচারপতিদের দুপুর ২টার মধ্যে অপসারণের আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
দেশের সব আদালত থেকে আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট দোসর বিচারপতিদের দুপুর ২টার মধ্যে অপসারণের আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি থেকে তিনি এ আলটিমেটাম দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এখনও আওয়ামী দোসররা বসে আছে। অসংখ্য দোসর বিচারপতি নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছেন। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, জজ কোটের সব দোসর বিচারকদের দুপুর ২টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। যারা আওয়ামী লীগের দোসর তাদের আগ্রাসন ছাত্র-জনতা কখনও মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, আমরা একইসঙ্গে বলতে চাই, ছাত্রলীগকে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। তাদের স্লোগান, অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তাল পুরো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই,’ ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ,’ ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,’ ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, হাইকোর্ট ঘেরাও হবে,’ ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা,’ ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম,’ ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কেএইচ/এসএসএইচ