কাঠের নৌকায় চেপে স্পেন যাওয়ার চেষ্টা, সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু ২৬ জনের

কাঠের নৌকায় চেপে স্পেন যাওয়ার চেষ্টা, সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু ২৬ জনের

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালে অভিবাসী ও শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২৬ জন মারা গেছেন। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে শতাধিক আরোহী ছিলেন এবং যাত্রা শুরুর পর কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরই নৌকাটি ডুবে যায়।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালে অভিবাসী ও শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২৬ জন মারা গেছেন। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে শতাধিক আরোহী ছিলেন এবং যাত্রা শুরুর পর কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরই নৌকাটি ডুবে যায়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনেগালের উপকূলে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাঠের মাছ ধরার এই নৌকাটিতে ১০০ জনেরও বেশি লোক ছিল এবং যাত্রা শুরুর পর মাত্র ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) যাওয়ার পরই নৌকাটি ডুবে যায়।

বিবিসি বলছে, নৌকায় আরোহী হিসেবে যারা ছিলেন তাদের বিপর্যস্ত আত্মীয় এবং বন্ধুরা সমুদ্র সৈকতে জড়ো হয়েছেন এবং উদ্বেগের সাথে তাদের প্রিয়জনের খবর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ পর্যন্ত চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে।

ডুবে যাওয়া এই নৌকাটি রাজধানী শহর ডাকার থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এমবোর থেকে রওনা হয়েছিল। মূলত পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে অবস্থিত স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল নৌকাটি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সেনেগাল হয়ে পশ্চিম আফ্রিকা ছেড়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব অভিবাসীদের বেশিরভাগই যুবক। তারা সংঘাত, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব থেকে মুক্তির জন্য বিপজ্জনক সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে স্প্যানিশ দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে। চলতি বছর স্পেনের এই দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৩০ হাজার অভিবাসীর আগমন রেকর্ড করা হয়েছে।

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে স্পেনই সবচেয়ে বেশি অভিবাসী গ্রহণ করে থাকে এবং দেশটিতে পৌঁছানোর জন্য অভিবাসীদের কাছে ভূমধ্যসাগরের পথটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক পশ্চিম আফ্রিকান অভিবাসী আটলান্টিক মহাসাগর হয়ে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর পথও বেছে নিচ্ছে।

মূলত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিম আফ্রিকা উপকূল থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ অভিমুখে অবৈধ অভিবাসীদের বিপজ্জনক চলাচল অনেক বেড়ে গেছে। অভিবাসন প্রত্যাশীরা যেসব নৌকা বা নৌযানে সমুদ্র পাড়ি দেন, সেগুলোর ইঞ্জিন অনেক সময় ত্রুটিপূর্ণ থাকে।

এছাড়া ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করাও এসব নৌযানের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ ব্যাপার। ফলে বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিবাসন প্রত্যাশীরা মৃত্যুমুখে পতিত হন।

অবশ্য বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রার বিষয়ে অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা চালানো হলেও তাতে খুব বেশি ফল মেলেনি।

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *