ওয়ানডে ফরম্যাটে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে অস্ট্রেলিয়া দাপুটে জয় পেলেও, বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা পরের দুটি হেরেছে। ইংল্যান্ড টানা দুই জয়ে সমতা এনেছে সিরিজে। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে খেলতে নেমে এদিন (শুক্রবার) লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন পেসার মিচেল স্টার্ক। অজিদের হয়ে তিনি ওয়ানডেতে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান খরচের অতীত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
ওয়ানডে ফরম্যাটে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে অস্ট্রেলিয়া দাপুটে জয় পেলেও, বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা পরের দুটি হেরেছে। ইংল্যান্ড টানা দুই জয়ে সমতা এনেছে সিরিজে। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে খেলতে নেমে এদিন (শুক্রবার) লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন পেসার মিচেল স্টার্ক। অজিদের হয়ে তিনি ওয়ানডেতে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান খরচের অতীত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
লর্ডসে গতকাল টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক ইংলিশরা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৩৯ ওভারে নামিয়ে আনার পর হ্যারি ব্রুকের নেতৃত্বাধীন দলটি যেন আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ৫ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৩১২ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। যেখানে স্টার্কের করা শেষ ওভারেই এসেছে ২৮ রান। চারটি ছয় ও এক চারে লিয়াম লিভিংস্টোন লজ্জার কীর্তিতে এই পেসারের নাম লেখান।
স্টার্ক ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে লিভিংস্টোনের হাতে ছক্কা হজম করেন। কোনো রান আসেনি তার দ্বিতীয় বলে। তবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর ৩টি ছয় মারেন ইংলিশ তারকা। শেষ বলে তিনি চার মারেন। অর্থাৎ, সেই ওভারে মোট ২৮ রান ওঠে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো বোলার এক ওভারে ২৮ রান খরচ করেননি। এর আগে যৌথভাবে ওয়ানডের এক ওভারে সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ড ছিল সাইমন ডেভিস, ক্রেগ ম্যাকডারমট, জেভিয়ার দোহার্টি, অ্যাডাম জাম্পা ও ক্যামেরন গ্রিনের। তারা এক ওভারে ২৬ রান করে খরচ করেছিলেন।
এমন হতাশাজনক রেকর্ড থেকে পাঁচ অজি বোলারকে মুক্তি দিলেন স্টার্ক। শেষ পর্যন্ত ৮ ওভারে ৭০ রান করেছেন বাঁ-হাতি এই গতিতারকা। কেবল তাই নয়, এদিন তিনি কোনো উইকেটও পাননি। অন্যদিকে, ইনিংস শেষে অপরাজিত লিয়াম লিভিংস্টোন ২৭ বলে ৬২ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন। পুরো ইনিংসে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের হয়ে বেন ডাকেট ৬৩ (৬২ বল), ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ব্রুক ৮৭ (৫৮ বল) ও জেমি স্মিথ ৩৯ (২৮ বল) রান করেছেন। ফলে নির্ধারিত ৩৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩১২ রানের বড় পুঁজি গড়ে ইংল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২৪.৪ ওভারেই মাত্র ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। ১৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। অজিদের হয়ে ট্রাভিস হেড সর্বোচ্চ ৩৪ এবং অধিনায়ক মিচেল মার্শ ২৮ রান করেছেন। এ ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে না পারায় বড় হার দেখে সফরকারীরা। ইংলিশদের হয়ে ম্যাথু পটস সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন। ব্রাইডন কার্স ৩, জোফরা আর্চার ২ এবং অদিল রশিদ নিয়েছেন এক উইকেট।
এএইচএস