সাত বছর প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্হা এবং জাহির ইকবাল। লম্বা এই সময়ে কোনও দিন তাদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিজেদের সম্পর্ক প্রকাশের চেষ্টা করেননি যুগল।
সাত বছর প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্হা এবং জাহির ইকবাল। লম্বা এই সময়ে কোনও দিন তাদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিজেদের সম্পর্ক প্রকাশের চেষ্টা করেননি যুগল।
অবশেষে ২০২৪ সালের ২৩ জুন ভক্তদের চমকে দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। এরপর থেকে তাদের নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ভক্তদের প্রশ্ন, সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কেন এত লুকোচুরি করেছেন সোনাক্ষী?
বিয়ের সময় বহু প্রশ্ন উঠেছে সোনাক্ষী-জাহিরের সম্পর্ক নিয়ে। ভিন্ন ধর্মে বিয়ে বলে নাকি অভিনেত্রীর পরিবার তা মেনে নিতে চায়নি। সেই কারণেই কি প্রেমের কথাও লুকিয়ে রেখেছিলেন সোনাক্ষী?
যদিও অভিনেত্রীর দাবি, মোটেও সে রকম কোনও বিষয় নয়। মা পুনম সিন্হাকেই সম্পর্কের কথা প্রথম খোলাখুলি জানিয়েছিলেন সোনাক্ষী। বাবা শত্রুঘ্ন সিন্হাও প্রথম থেকেই চিনতেন জাহিরকে।
তাহলে কেন বাইরের কেউ জানতে পারেননি এই সম্পর্কের বিষয়ে? সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি ভয় পেতেন। সোনাক্ষী বলেন, ‘খারাপ নজরের ভয় পেতাম।’
অর্থাৎ, সমাজকে বা পরিবারকে নয়, অভিনেত্রী ভয় পেতেন কোনও কুনজরের প্রভাবে তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার!
এমন উত্তরে প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। যদিও, মুহূর্তের মধ্যেই সোনাক্ষী বদলে নেন নিজের বক্তব্য। দাবি করেন, তিনি অভিনেত্রী হিসাবে যথেষ্ট প্রচারের আলোয় থাকেন। প্রেমের মতো ব্যক্তিগত বিষয়কে সকলের সামনে আনতে চাননি। সোনাক্ষী বলেন, ‘এমনিতেই প্রচারের আলো আমাদের ওপরে থাকে। সকলেই আমাদের বিষয়ে সব কিছু জানেন। সেখানে আমাদের প্রিয় কিছু জিনিস একান্ত নিজেদের থাক না!’
এই ভাবনা থেকেই বিবাহের অনুষ্ঠানও খুব সাধারণ রেখেছিল সিন্হা পরিবার। ২৩ জুন নিজের বাড়িতে আইনি বিয়ে সারেন জাহির-সোনাক্ষী। উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন-পুনম। সন্ধ্যায় ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
তবে সিন্হা পরিবারে যে একেবারেই অশান্তি ছিল না, তা প্রমাণ করা যায়নি। সোনাক্ষীর বিয়েতে একবারও দেখা যায়নি তার দাদা লবকে। পরে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে লব সাফ জানান, জাহির ইকবালের বাবাকে তিনি একদমই পছন্দ করেন না। তাই উপস্থিত থাকেননি বোনের বিয়েতে।
এনএইচ