আমরা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছি : অলি আহমেদ

আমরা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছি : অলি আহমেদ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বলেছেন, সরকারকে আমরা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যা যা প্রয়োজন এসব প্রস্তাবে সেগুলো রয়েছে।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বলেছেন, সরকারকে আমরা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যা যা প্রয়োজন এসব প্রস্তাবে সেগুলো রয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অলি আহমেদ বলেন, আগামীতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন, সুন্দরভাবে প্রশাসন চালানো, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের জন্য মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে তা কমানো ইত্যাদি বিষয়ে বলেছি আমরা। তাদের সহযোগিতা করার জন্যেই আমাদের প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তাদের নিষিদ্ধ করা উচিত। তাদের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ।  এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা আজকে দ্বিতীয়বার এসেছি, আলোচনাও করেছি, লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি। প্রথমবার যখন এসেছি তখন ১০৩টা প্রস্তাব দিয়েছি, আজকে আরও ২৩টা প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের দল কাউকে সুবিধা দেওয়া জন্য বা কাউকে জেল থেকে মুক্তির জন্য কোনো প্রস্তাব দেয়নি, যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণের যা প্রয়োজন সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন, সুন্দর প্রশাসন, ন্যায়বিচার করার জন্য ও দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এই পয়েন্টগুলো আমরা দিয়েছি। 

তিনি বলেন, আমরা পুরো জাতি জুলাই-আগস্টে একটা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গেলাম, এই যুদ্ধটা কার বিরুদ্ধে হলো, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা কেন হলো, তারা অন্যায়ভাবে পুলিশকে ব্যবহার করেছে। প্রশাসনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে, দেশ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে আমাদের বহু ছেলে-মেয়ে হতাহত হয়েছে। দেড় হাজারের উপরে আমাদের ছেলে-মেয়ে মারা গেছে। অনেকে বলে আরও বেশি হবে যার কোনো হিসেব নেই। অনেক লাশ পুড়িয়ে ফেলছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে আহত হয়েছে। 

অলি আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করছিল, পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সেদিন আমরা তাদের নিষিদ্ধ করেছিলাম। আজকে কি কারণে আওয়ামীলী গকে নিষিদ্ধ করা হবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সবাইকে ব্যবহার করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা জনতার চাপে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।

এমএসআই/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *